নিঃশব্দ রজনী
জামাল উদ্দিন জীবন


ঘুম হীনা দুটি আঁখি মোর
অপলক চেয়ে আছি একা একা
আকাশ পানে তোমায় দেখবো বলে
আমার মনের মন্দিরে সেই রাণী।


আমি চন্দ্র হয়ে তোমায় আলো
দিতে চাই সকল আঁধার দুর
করে পৃথিবীকে রঙে রঙে রঙ্গিন
করে সাঁজাতে বড় সাধ জাগে।


শিউলি আর জুঁই ফুলগুলো ফুটেছে
বাগানে পাখিদের কূজনে মাতোয়ারা
মাতাল সমীরনের সাথে ছুটে চলা ছিল
দুজনে ভালোবাসার বহু দুর পানে।


বৃক্ষরাজীগুলো আগের মতো আছে
পল্লব বনে যেখানে দুজনে ছিলাম
কথার মেলায় মশগুল চাওয়া পাওয়া
আর হৃদয়ের বন্ধন দুজনার প্রতি।


প্রীতি বন্ধন সখ্যতাও আরো ছিল
একই মেরুতে দুজনার অবস্হান সাথী
আমার মুখপানে তুমি তাকিয়ে থাকতে
নিশি হতো ভোর ঘরে ফিরার নামটিও।


মুখে আনতে না বলেছিলে মোরে রেখ
তোমার বাহুডোরে কারে যুগল বন্দী
মোদের ভালোবাসা স্বর্গ হতে বিধাতা
করিয়াছে দান করিলাম আমি সন্ধি।


মোর এ দেহে প্রাণ থাকিতে কভু তোমায়
পর করিতে নাহি হয় সেদিন মরণ
এসে তোমাতে আমাতে একিসাথে তার
দেশে স্বমহিমায় বরণ করে নিয়ে যায়।


মনের মন্দিরে দেবতা আঁখিতে স্বপ্ন
কাজল হৃদয়ের গীত মোর প্রাণেরী সম্বল
কেমনে থাকিব তোমায় ছেড়ে কোথায়
কোন দুর দেশে রাখিবা মোরে  যতনে।