সুখ পরো বাসি ০৪
জামাল উদ্দিন জীবন


আমরা অপেক্ষা রত সকলে মিলে
কোন ভাবেই ফুরসত মিলছেই না
কত জন ওদের আছে  কিছু জানি না
অতর্কিত আক্রমণ দেখি ক্ষণে ক্ষণে।

এদিক সেদিক দৌড় ঝাপ করে দেখি
এখন দুটি দলে বিভক্ত হয়েছি আমরা
সারাটি রাত্রি ধরে ওরা জ্বালাতন করে
ফজরের আগে আসে নির্দেশনা ভুলেও।


ভারি অস্ত্র ছাড়া কেউ আক্রমণ করতে
যাবে না ওদের সাথে দেশিও দালাল
রাজাকার দোসর বিশ্বাস ঘাতকরা জড়িত
আমাদের আক্রমণে ওরা দিশে হারা হয়ে।


যায় দেখি সামনে এগিয়ে আসে জাতি ভাই
ক্ষণ কালের নীরবতা আমায় ঘিরে ধরে ওরাই
আমার মায়ের ভাষা মুখের বুলি কেড়ে নিয়েছে
বাংলাকে করেছে ইজ্জত আব্রু হীন বে আব্রু ধরায়।


ডাকছে আমায় খোকা তোমার হাত কাঁপছে কেন
ভয় সংশয় নাকি মায়া জালে ওষ্ঠে পৃষ্ঠে বন্দি হলে
তুমি কি ভুলে গেছ ওদের নিদারুণ সে খেলার কথা
সকলের আক্রমণ শরীরের রক্তে আগুন লেগেছে ওর।


দাবা নল হয়ে জ্বলছে ইস্ফুলিঙ্গের মত অন্তরে ক্ষত
প্রতিশোধের নেশায় সব ভুলে একাই বীর বিক্রমে
অগ্রসর হই সামনে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে
মাকে যখন মুক্ত করব বুলেট লাগে খোকার তাজা বুকে

সমস্ত রাজ্যের নীরবতা নেমে এলো চারি দিক শান্ত নিস্তব্ধ  
গোলা বারুদ অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই রক্ত স্রোত নদীর ধারা বয়
কচি কচি অঙ্গ গুলি বুকে জড়িয়ে দুখিনী মায়ের আত্ম চিৎকার
সাদা কাপড়ে খোকার সাথে দেশ মাকে পবিত্র করি সকলে এবার।