৩০ ফাল্গুনের হে বাসন্তিকা !
এত কাছে, তবু কেন
আজও খুঁজি কল্পনায়..?
এ দেহে আত্মা নয়,
অনুভব করি শুধু তোমায়।
বাস্তব স্বপ্ন আজ
যেন জল্পনার বেড়াজালে
বাঁধাপরা এক আগাছা স্বপ্ন।
প্রেমোদ্যানে,
হাজার ফুলকে ছিঁরে ফেলে
তোমাকেই করি যত্ন, কেননা
তুমিই আমার সকল স্বার্থের
একমাত্র রত্ন।


শুধু তোমার-ই প্রতীক্ষায়,
পাড়ি দেই প্রতিটি প্রহর।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস আর দৈহিক
জড়তায় কেটে যায়
এক একটি ত্রিযামা।
যৌবন ভাটায় এ' গায়ে
ধরেছে ঘুন,
হারায়েছে শান্ত নিঃশ্বাস;
এখন শুধুই মরীচীকার
আধার এ কলেবর।
ভালবাসার আগ্রহে
দেবেকি আমায় ফুটিক জল..?
হোক সে অশ্রু বিন্দু;
তবুও যদি থাকে
তাতে মমতার মিশ্রণ,
আমি আকাশের বুকে
মেঘের সঙ্গে করব সখ্যতা,
জয় করব বরুণ দল
মরুর বুকে গড়ে তুলব
বিশাল সমুদ্র তল।


নিরাশা নয়,
যদি দাও আশার নিঃশ্বাস
একটু খানি..!
ভালবাসার কষ্টিপাথরে
তৈরি করব বৃহৎ প্রাচীর,
মোকাবেলা করব যতসব
প্রাকৃতিক-কৃত্রিম দুর্যোগ।
সাইক্লোন-টর্নেডো-সুনামি
যেটাই হানা দিক না কেন,
সব কিছুই এ' ভালবাসার
দ্বারপ্রান্তে হয়ে যাবে
এক পলকে বিধ্বস্ত।


শ্রাবণ যদি ঝরে যায়
শিশিরের ন্যায়,
ফাল্গুনের কোলাহল চলে যায়
যদি কোকিলের গীতিকায়,
আমি কলকন্ঠে ডাকব তোমায়
হাতে নিয়ে শ্রাবণ জল,
ওঠ, স্নান কর;
পড় আজিকে বসন্ত লতা,
এসেছে যে বৈশাখী দল।
কোমল তোমার ভালবাসায়
অমন জল হয়ে
রবেকি আমার হাতে সর্বক্ষণ..?
আমি কৃষক বাবার মুখে
আনব সৌখিন হাসি,
ফিরে পাবে তারা অক্লান্ত বিশ্রাম।


অনেক বসন্ত পেড়িয়েছি,
অনেক অশান্ত মূহুর্ত কাটিয়েছি,
বহু লাবণ্যময়ী রূপবতী
সুকণ্যার চাওয়া-পাওয়াকে
দূরে ঠেলে শুধু তোমার নিষ্পাপ
নিঃশ্বাস বক্ষে নিয়ে কাটিয়ে দেব
জীবন সংসার বলে,
হাত বাড়িয়েছি আজ তোমার পানে,
হবে কি আমার জীবন সঙ্গী
প্রতীক্ষিত এই ৩০ ফাল্গুনে..?