মা বাংলাকে ভালোবাসতে বলেছিলো,
বলেছিলো বাংলা রক্ষার্থে সব করিতে,
তারপর থেকে আমি বাংলার প্রেমে যুক্ত হই।
অকস্মাৎ বাংলার বিনাশে আঘাত হানে-
ধূর্ত বাহিনীর নিকৃষ্ট গোষ্ঠী।
পথে রক্তস্রোতের আবির্ভাব হয়,
তারা সেখানে বিষ বাষ্পের বোতল ছেড়ে দেয়;
তবু আমার ভাষাকে সে বাষ্পের সাথে মিশতে দেইনি।
বিষের চেয়েও রক্তের পরিমাণ দিয়েছি অধিক!
বাংলার রক্ষায় জানালার কোণে গোঙাচ্ছিলো রক্তমাখা কিশোর,
চিৎকার করে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটি।
অজানা আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সামনে এগিয়েছি,
মৃত্যুকে দেখেছি প্রিয় করে;
খাবলানো শরীরে ঢেলেছে অগ্নিশিখা,
করেছি আর্তনাদ;
চাইনি প্রাণ ভিক্ষা;
ভাষার রক্তে মিশেছে সালাম,বরকত,জব্বার-
আরো মিশেছে একঝাঁক ভাষাপ্রেমের রক্ত।
তবু মিশতে দেয়নি বিষাক্ত গন্ধ!
দেহ হয়েছে গুলিবিদ্ধ,
হাড় হয়েছে ছিন্ন,
নিথর প্রানহীন দেহে জন্মেছে পোকা।
মৃত্যুর মহানিশায় ভয় পাইনি আমরা!
আমার মৃত্যু ঘটেছে,
আমার শান্তি হচ্ছে,
ভাষার জয় হয়েছে।