জলসা ঘরের রঙ্গিলারা আজ অসহায়,
ক্ষুধার জ্বালায় রূপ বেচে যায়।
প্রদীপ হাতে রঙ মহলের ক্রেতারা,
নারীসঙ্গ পেতে উজাড় করে সর্বহারা।


ছেঁড়া চাদরে ঢেকেছে রঙিন চেহারা,
সব হারিয়ে থালা হাতে দিশেহারা।
গলির মুখে বিড়বিড় করে সারাদিন,
দাপট দেখানো সেই কমরুদ্দিন!


এক সময়ের জলসা ঘরের রুপসী কমলা,
রূপ হারিয়ে গলির মুখে বেচে এঁটে কলা।
কাস্টমার আসে, কলা খায় আর যায় চলে,
রূপের হাটের কমলার নয়ন ভাসে নোনাজলে।


রাজনীতি বলতে পাগল সেই শামসুদ্দীন,
পাড়ার মোড়ে চা-দোকানে কাজ করে রাতদিন।
সংসার পাতা হয়ে উঠেনি নেতার পিছনে ছোটে,
সময় পেলে নিরলে বসে নিজে নিজের মাথা খুঁটে।


ছ'বারেরও বেশি মেম্বার প্রার্থী হয়েছিল সলুর বাপ,
পলিটিক্সের কাছে হেরে চাইত ভোটারের কাছে মাফ।
দারিদ্রতায় বসবাস করেও চাইত দেশের  উন্নয়ন,
বৃদ্ধ বয়সে এসে আজ জলে ভরা তার দু'নয়ন।