তোমাকে তোমার অন্তর যাত্রার পদধ্বনি শুনতেই হবে। সারাটি জীবন এই নির্মমতার আহাজারি শুনতে হবে। মরণের পরেও বিশ্ববিধাত্রেও তুমি হাপিত্বেশ করবে । এখন আকাশে বাতাসে ঐ নির্মমতার বানী আমাকে দুয়ারবদ্ধ করে দেবে।
যৌবনের গান আর পৌড়ের আহাজারি মিশে তোমার বাতাস কে ভারি করে তুলবে।
বিশ্বাস কর আমি এমন করে চাইনি।
একটা ছোট্টো কুটিরে একজোড়া ময়না অথবা
শালিক খুব ছুটোছুটি করবে আর পড়ন্ত বিকেলের ঐ আশিতিপর বৃক্ষে লুকোচুরি খেলবে।
ওদের কিছু নেই।
ওদের ভয় পাবার কিছু নেই।ওদের হারানোর কিছু নেই। ওদের পাবারও কিছু নেই।
দুঃসময় গুলোকে যদি মাটি চাপা দিয়ে আটকে রাখা যেত তবে তাই করতাম।
মনে রাখবে কোন একদিন এই পদচিহ্ন এই বাকে বিলীন হবে।
বহুদুর অন্ধকারের পর যখন ভোর আসবে তখন প্রণয়ের পাপড়ি থরে বিথরে সাজিয়ে রাখবো।
শুধু অনুরোধ ভুলতে হবেনা শুধু বলবে আসি
আর একবার ।
আ-সমুদ্র হিমাচল পাড়ি দিয়ে শেষ আয়ুষ্কালে বৃন্দাবনে এক টুকরো দখিনা হাওয়ায় মাতিয়ে তুলবে সারাটি ভুবন ।
তখন আমিই তোমাকে অভিবাদন জানাবো।
জয়, জয় হোক নিরুদ্দেশে হারিয়ে যাওয়া পবনের।।