মানুষ মানুষেরই জন্য,
হয়তো কথাটি পূর্ব জনমে ছিলো খাঁটি,
যখন – ছিলো পৃথিবীতে সবাই রক্ষণার্থে মাটি,
বিছিয়ে ঘুমতো শীতল বাঁশের পাটি,
যেখানেই হতো রাত, সেখানেই ছিলো ঘাটি।।


এখন মানুষ ছুটে বেড়ায়, করতে শুধুই অন্যের ক্ষতি,
শুকিয়ে কষ্টে – পানি সব নদীটির ‘’ ময়নামতি ‘’,
হারিয়ে ফেলেছে তাই যা ছিলো চোখের জ্যোতি।
আজ মানুষ দলে দলে খুঁজতে গিয়ে নীতি;
ধ্বংস হয়ে নিজেই, তবুও করতে যায় এগিয়ে অন্যের অবনতি।
বিশ্বাস তাই আজ দাঁড়ায় শুধু বছর গুনে,
তারপর হুমকির চলে উন্নতি।।


আজ মানুষ পথ মাড়িয়ে উঁকি মারে, ঘরে ঘরে
বাতি জ্বলে নিভে কেনো বারে বারে?
কৌতুহলী মনকে অস্থির করে, রটাতে নিজ ঘর অন্যের দ্বারে দ্বারে।
ব্যস্ত সবাই ভেঙে দিয়ে ব্যথা, পথের পাড়ে পাড়ে,
সন্নিকটে নিজেরই শেষ, কেউ নেই পাশে
আপন ভেবেছিলো যারে যারে।।



আসছে দিন, কেউ করছে না খেয়াল
প্রকৃতি ফিরে আসছে যেনো ভাঙতে সবার দেয়াল।
নিস্তার পাবে তারাই যারা বিশ্বাস রেখে একদিন হলেও
মিলিয়ে দিয়ে ঝাল,
ফিরিয়ে নিয়ে এসে অন্যের কটূক্তি, বজায় রেখে সমতাল।
মানুষ আজ হয়ে চলেছে বিলীন, বিছিয়ে নিজেই নিজের ধ্বংসজাল।
পরিবেশ প্রকৃতির তাই আজ ক্ষিপ্ত,
কাউকে না জানিয়েই যে গড়ে তুলছে মানুষেরই জন্য পরকাল।।