এতো ভয় তোমার কীসে??
সবই তো করছো বিলীন হাতের আশেপাশে,
রাত জেগে বিলুপ্ত হচ্ছে কতো যে দিন প্রতি মাসে।
রাখতে কাছে ধরে বেঁধে আপনজন বিশ্বাসে
হারাতে হয় নিজেকেই যেনো অক্লান্ত কোন প্রয়াসে,
মনকে নিয়ে দূরে, যাই যে ভুলে, অক্ষুন্ন পরিবেশে।
তবুও যে কেউ পায় না খুঁজে শান্তি, অবশেষে
জমায় পাড়ি সুদূর কোন প্রবাসে
নিজেকে নিয়ে নীল আকাশের হাওয়ায় ভেসে ভেসে;
মুক্ত হতে মূখ্য হয়ে, চোখের জলে যেনো মিশে
ছাড়তে হয় নিজের বলে যা জেনেছি, হারিয়ে ফেলে দিশে।।


এতো ভয় পাও তুমি কীসে??
হারানোর ভয়ে যাও অযথাই রেগে,
নিদ্রাহীন কাটাও রাত, কোন সে রোগে?
হয়রান আজ খুঁজতে গিয়ে, কী তুমি যুগে যুগে
কোন্ সে মায়ায় যাও ভুগে?
প্রতিযোগীতায় নাম লিখিয়ে, কে কার আগে,
সমাজে থাকার শুনি এটাই নিয়ম, অভিন্ন শত ভাগে!
হৃদয়ে তবুও আশা জাগে,
একে লুকিয়ে অন্যের গচ্ছিত কোন অনুরাগে
কেউ থাকে সীমিত ক্ষুদ্র আদুরে সোহাগে,
নিরাশ হয়ে অনেক স্মৃতি, কাটায় শেষে মাতৃভোগে।।


ভয় পেও না…………
শূন্য তুমি, এসেছিলে করতে জয়ধ্বনি,
খুঁজতে নয় মাটির তলায়, যা লুকানো আছে বলে খনি
খুঁড়ে, পুড়ে জ্বালাতে নয়, নিজে বানিয়ে বাণী;
নিজের তলা নিজেই করে ফুটো, দোষ নিজে না মানি।
মৃত্যু সবার জন্য যে অবধারিত, এটাই শুধু জানি,
হবেই হবে, লিখিত সবার কপালে, বন্ধ হবে চোখের মণি,
দুষ্ট তুমি, করে চলো শুধু কানাকানি,
বাঁচতে চেয়ে লাভ নেই, যতোই করো হানাহানি।।