সজল নয়নে ভাসি সর্বজনে মিশি,
যোগী ধ্যানী যেমতি ঋষি আসনে ব্রতী!
শ্যামের নৃত্য ঢঙে সাম্যের সপ্ত রঙে-
রামধনু ঐক্য আঁকি হৃদাকাশে ঝোঁকি!


গৃহত্যাগী মোর মন করিয়াছি পণ-
প্রেমময় পুণ্য বাণী নিজ কন্ঠে আনি-
নূতন কাব্য রসে নিত্য নব দিবসে-
রচি গীতি আনন্দে সর্ব পতিত বন্দে!


বিদীর্ণ হৃদয় সর্বদা ক্রন্দনময়-
বুঝাতে মর্মজ্বালা নয়নে অশ্রুমালা-
গর্বময় সর্ব কথা ম্লানহয় যথা-
সবলের রাঙ্গানো-চোখে মৌন ধমকে!


ভাষাহারা মূক মুখে সূর্যশির ঝোঁকে,
অত্যাচারে আত্মা আর্তে প্রিয় পরমাত্মা-
সর্বহারা মৌন আঁখি অশ্রুনীর সাক্ষী,
হেন দুঃখ দুর্ভাগ্য যেন রে শোক যোগ্য!


হেরি অবিরত দারিদ্র্যে ক্রন্দনরত -
বিশ্বের সংসারে যতো রয়েছে পতিত!
উপবাস-ব্রত সদা-সর্বদা অভ্যস্ত-
দৈবাৎ প্রাপ্ত বাসি মাধুকরী অমৃত!


অনুভবে যা সত্যি অবয়বে সে সতী!
সুলভে দৃশ্য স্ত্রী দুর্লভে ঈশ সত্য শ্রী!


শ্রী-স্ত্রী দ্বৈত মুরতি ছড়ায় পুণ্য দীপ্তি!
প্রভাতে যেমন ঐ আঁধার আবরণ -
পড়ে খসে খসে ঊষার ঐশ্বর্য বশে,
হে দ্বৈত - এসো পতিতে যোগ্য অনুপাতে!


সত্যের আশায় পতিত তপঃ নেশায় -
দীর্ঘ ধ্যানী বেশে পুণ্য পরিশ্রম শেষে,
বল্মীক ভর্তি শরীর শীর্ণ বাল্মীকির -
সমস্ত অস্থিময় শ্রীরাম নাম কয়!


সত্যের শ্রী প্রকাশে সর্ব অশুভ নাশে -
সতীর হরষে নরে সংসারে সংঘর্ষে,
সত্যের বুদ্ধি যশে সে মহারাজা বেশে -
সতীর সঙ্গ পাশে ঐ সিংহাসনে বসে!


তবে কেন ভুলে প্রেমের পুণ্য আঁচলে!
তব কৃপার ছলে বাঁধো নাকো অটলে?
তব প্রেমবলে আনন্দের শিখা জ্বলে!
তোমা পাবো বলে সিক্ত আঁখি অশ্রুজলে!


দিব্য ভাবে সর্বহারা আরাধ্য আরম্ভে -
তোমারই গৌরবে সদা রইবে ডুবে!
দৈব স্বভাবে দরিদ্র সে আরোগ্য লাভে -
পতিত যতো সবে জগতে উদ্ধারিবে!
             ----০----