সারাক্ষণ কোলাহলে
লেপ মুড়ি দিয়ে ওম নেই
তবু...নীরবতার ক্লান্তিজলে ডুবে মরি ।
বিষণ্ণতার শালবনে
দূরগামী আমিষ-দুঃখের কড়া নাড়া ।    
যমুনার তীরে-  
জোনাকির আম্রকাননে হলুদ মুকুল ঝরে ।  
আমি দীর্ঘশ্বাসের পাখনা মেলে
নিভৃতে সাঁতার কাটি ধূসর ঘাসে
যদি খুঁজে পাই আনমনে কিছু ফড়িং-পাখনা, তামার শিশির...।    
হৃদয়ের শার্শি বেয়ে নামে হিম কুয়াশা- মিছিল
অপেক্ষায় নয়ন পেতে রই
অনুপ স্মৃতির ঝাঁপি খুলে, কুড়াই শঙ্খ-প্রবাল অশ্রু  
অযুত-বেদনার শীর্ণ কাঁথায় সুঁই তুলি সমর্পণে ।
কি মন্থর গতিতে ভেঙে চলি শুদ্ধ সুখ-পাথর
বিষাদের লোকালয় হেঁটে যায় চন্দ্র মল্লিকা, ক্রন্দন-প্রহর ।  
নিথর-ফালগুণ  ।

অবশেষে...গীতবাদ্যের আসোরে জেগে ওঠে পিঙ্গল-মন ।  
সবুজের ধূপছায়াতে ডিঙি-বকের আলোক-ভ্রমণ
কেড়ে নেয় জিপসি-প্রাণ । স্নেহের-শিডিউল ।  
আর ষোড়শী- দুপুরে...মেঘের আর্দ্রতায়
নিদারুণ বিলাপে কেঁদে ওঠে আমার অবিনয়ী-ক্ষুব্ধ অহং ।