দেহের ভেতর মনের আদর
শুভ্র-মাখা স্নানে ঘুরে সহচর,
স্নেহের পালক মুক্তার ঝলক
ছায়ার জলে না দেখি হলেম বার্ধক।


সত্য-ধারায় আত্বার মহা-খেলা
মিথ্যা-প্রহরে আত্বার যেন ভোলা,
অন্যায়-অবিচারে আত্বার দহন
ভেবে দেখো পরকালে থাকিবে কেমন ?


মানব-সেবার নামে চলে প্রহসন
মিথ্যার-ঘোরে কি করিবে দমন,
সুর্যের-তাপে অন্যায় যেনো মূছে
আত্বার-সাধনে হৃদয় যেনো গুছে ।


শিক্ষা-দীক্ষা কেন গ্রহন ?
       আত্বার যদি হয় মরণ।  মরণ-কালে খুজি আত্বার চরণ
জীবকালে লয়নি প্রাণের স্মরণ।


অর্থ-মোহে পড়ে সততা হারায়
অন্যায়-অবিচারে আত্বা লুকায়,
কেমনে-জাগিবে মনের তারায়
বন্ধি করে আত্বা কাড়ায়।


জ্ঞানী-জনে নাহি পায় মান
অজ্ঞানী-সনে ভরে সবার প্রাণ,
দুর্বিলোকে মহা-আসন জোগায়
জ্ঞানী-লোকে না খেয়ে মরে হায়।


খালি কলসী বাজে যেমন বেশি
অজ্ঞানী লোকের কদর বেশি,
ভরা-কলসী বাজে যেমন কম
জ্ঞানী-লোকের না খেয়ে যায় দম।


জীবন-ঘরে আমি অথিতি
  কেমন করে রাখিবো স্মৃতি,
অজ্ঞানীর মত আসন নাহি চাই
আত্বার-সনে যেন থাকিতে পাই।


কত থাকিবে আত্বা-লুকায়ে
হাজার নদী সাগর পেরিয়ে,
জাগ্রত হে মানুষ
ভেঙ্গে দূবৃত্ত্বের ফানুষ।


সত্য-লোকে জীবন গড়ো
আত্বা-থাকি নাহি কিছু বড়ো,
সততা-মানবতায় ভেঙ্গে অন্যায়
দেশ যেন হাসে সুখের বন্যায়।


রচনাকাল -
দুপুর ১২ টা ৫০
১৯ সেপ্টেম্বর,২০১৩ ।
৪ আশ্বিন ১৪২০ ।