আমার -পৃথিবী


ঘরটা আমার ছোট্ট, এক চিলতে
তবু বিভোর হয়ে দেখি, গোটা পৃথিবী I
ভাঙা জানালা দিয়ে, চোখ ভরে I
অদূরে, চাষীরা জল কাদায়, ধান বুনছে I
ঢিল ছুঁড়লে, জলে ওঠে নীল-সবুজের ঢেউ
ভুলেও যেন, ডেকো না আমায় কেউ –
ইচ্ছা করে, কচুরিপানার বিছানায় শুয়ে
দু’চোখ ভরে দেখি নীল আকাশটাকে I
বিকেল হলে, উঠিয়ে যেন দেয় অবসর বাতাস I
মন যে, আমার দেয় ছুট খালি পায়ে,
আলতো দুপুরে –
আল ধরে, কত ঘাট পেরিয়ে, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে;
মেঠো পথের শেষে –
এক দমে ছুটটে পড়ি গিয়ে,
ঐ যে দূরের বাঁশ বাগানে I
ডাহুক পাখি সেথায় বোল ধরেছে -
অজানা পোকা কিচকিচ তাল ঠুকছে I
বাবলার রস পড়ে টুপ-টুপ, মরা পাতার’পরে
মনে হয় আসছে যেন কেউ খালি পায়ে I
নুয়ে পড়া ডালে কি ঝুলছে ভূতের রাজা ?
বরগুলো আজ অকেজো, নেই যে গুপী-বাঘা
হাজির হলে চাইতাম তিন বর I
চাইতাম, সারা পৃথিবী পাক, একমুঠো শিক্ষার আলো I
পায় যেন খেতে সবাই, দু’বেলা দু’মুঠো I
চাইতাম, একজোড়া ভবঘুরে চটি –
দিতাম দেশ-বিদেশে, অচিনপুরে পাড়ি I