ব্রহ্মার উবাচ


ব্রহ্মা কহে পৃথিবীরে,
দিয়েছি তোমায় সর্বশেষ্ঠ উপহার
মানুষ তাহারে কয় I
পৃথিবী কহে, হে দেববর;
আজ ধরাধামে তার
মান-হুশ কেবলই লয় I
কুন্তি হেথায় লাজ লুকায়, আবর্জনার স্তূপে,
কর্ণ যেন প্রতিশোধ নেয় লয়, অচেনা পথের ধারে I
সম্পত্তি আর দাম্পত্যের টানে, অভিশপ্ত নাড়ির টান;
মুক্তির আশায় চাতক যেন, বৃদ্ধাশ্রমের প্রাণ I
বিষয় আর নূতনের নেশায় সবাই সবার আগে,
ভাগাড়ের আজ পোষ্য তারা, চেতনা ফেলেছে ভাগাড়ে  I
শিক্ষিত আছে, শিক্ষা নেই
বুদ্ধি আছে, জ্ঞান নাই
বিদ্যে আছে, বুদ্ধি  নাই
বিচার আছে, বিবেক  নাই
মূল্য আছে, মূল্যবোধ  নাই
মত আছে, আদর্শ নাই
চাওয়া-পাওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বে, প্রেম যে বড় অসহায় I
কলির ঘোর অভিশাপে, ষড়রিপুর এ কি অবক্ষয় !
পোশাকি আলোয় যায় না চেনা, ভেতরের মানুষকে
সিঁড়ির ধাপে মাড়িয়ে ওঠে,
অন্য মানুষ কে !
ব্রহ্মা কহে, এ কি যাতনা সহে হে মেদিনী !
ধরিত্রী কহে, সত্যযুগে তোমারই বিধানে
দিয়েছি ঠাই আমি, সীতারে I
মানব জন্ম দিলে শুধু, দাও তারে এবার স্বস্তি ?
যন্ত্ররে এবার দাও প্রাণ, দাও যুক্তি, অভিব্যক্তি I