ধর্ষণ  


ধর্ষণ ! শব্দটা লিখতে এখনো কাঁপে আমার লেখনী !
সভ্য সমাজে , সভ্যতার যুগে আমি এক ধর্ষিতা নারী ;
ওদের হিংস্র কামনায় কেন আমি হব কলঙ্কিনী I
কেন আমি হব অবৈধ সন্তানের জননী I
ওদের বিকৃত যৌন লালসার শিকারে লুণ্ঠিত আমার সতীত্ব I
দু’হাত দিয়ে ওদের পারিনি করতে ক্ষান্ত -
কামড়ের দাগে শরীর আমার করেছে ক্ষত বিক্ষত I
ওদের পেশিশক্তির বাহুবলে আমি নিষ্ক্রিয় !
কেন আমি হব সমাজের বুকে লজ্জিত !
লজ্জিত হোক আমার দেশ , লজ্জিত হোক আমার দেশের নাগরিক ,
লজ্জিত হোক আমার সমাজ , লজ্জিত হোক আমার আত্মীয় - অনাত্মীয় I
ওরা শয়তান-নরখাদক –অমানুষ -
ওরা বিবেকহীন - নির্দয় - কাপুরুষ ,
ওরা মানে না বয়সের সীমারেখা ; মানে না জাতি-ধর্ম-বর্ণ ,
ওরা অশিক্ষিত , অর্ধশিক্ষিত , শিক্ষিত ;
ওরা খাদক , আমি যেন ওদের খাদ্য I
নির্ভায়ার বিচার হয়েছে সত্যি ;
ধর্ষকের শাস্তি , তাও হয়েছে সত্যি I
বলতে পারো , দেশের সকল নির্ভায়া পেয়েছে স্বস্তি !
বলতে পারো , দেশের সকল ধর্ষকের হয়েছে শাস্তি  !
আজও কি মনুষ্যত্ব যায়না বদলে ধর্ষকের আদলে ;
আজও কি মানুষরূপী পশুরা বের হয় না নির্ভায়া সন্ধানে – !