কাকতাড়ুয়া  


তোর কাকটা কি আজ করেছে কোন অভিমান ?
সাধের রসগোল্লা , সন্দেশ, চা-বিস্কুট, পান !
ভাত , ডাল , ভাজা , তরকারি ; ওমা আরো কত কি !-
সাজিয়ে তো  দিয়েছিস সুন্দর করে পাত বেড়ে সবই –
তবু , মুখে যে তোলে না কোন কিচ্ছুটি ,
কাকটা কি তবে ভারী দেমাগী ? !!
আমি তো শেষ জীবনে জ্বালাতাম খালি -
বিছানা নোংরা করেছি বলে দুদিন খেতে দিস নি ;
আজ যে বড় আয়োজনে মৎস্যমুখী I
লোকজনে কি বলবে এই ভয়ে ? - সেবাযত্নের  কি ছিল কোন খামতি !-
যত্নের নামে ঢের পেয়েছি গালাগালি আর অবহেলা , আজ পেলাম সুখের নিষ্কৃতি ! -
পয়সা থাকলে দিতিস পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে ,
নিজের বাড়িতেই ছিলাম তাই আঁস্তাকুড়ের মত ঘরের এক কোণে -
নাতি-নাতনিদেরও ঘেঁষতে দিতিস না নিন্দা লুকানোর ভয়ে –
মরার আগে “জল-জল” করে  , চেয়েও পাইনি তোদের দেখা !!
আজ যে শ্রাদ্ধশান্তির বড় ঘটা !
এখন তো ধড়া পড়ে দেখাস - যত্তসব মেকি আদিখ্যেতা !
কোলে পিঠে করে তোদের বড় করে , এই ছিল আমার পাওনা ! -
ডাক্তার এলো বটে অনেক পরে , শেষ বার্তাটুকু দিতে –
কাকটা জানান দিয়ে গেছে সেই কোন কাকভোরে ! -
তোরা তো সেই ঘুমে কাদা ;
‘আমি যে আর নেই , হতভাগা  - !!‘