সে এক হেরে যাওয়ার গল্প


মায়ের কোল আলো করে জন্মেছিল মেয়েটি
কালো গায়ে সোনার মতো রঙ
পাঁকে ফোটা পদ্মের মতো আঁতুড়ের রক্ত মাখা বিছনায় শুয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল তার হাত
দীর্ঘ ন মাস ধরে যাকে ভালোবেসেছে,তার দিকে একান্ত নির্ভরতায়.....
সেই মানুষটির তখন হাত কাঁপছে,বুক কাঁপছে ভয়ে,
চোখ কাঁপছে পদ্ম ফুলের চোখের দিকে চেয়ে
মন বলছে
" আয় না আবার সেই সেখানেই লুকিয়ে রাখি তোকে
যত্ন করে আদর করে জড়িয়ে রাখি বুকে
ওরে ও প্রান কাঁদিস না তুই,ওরা শুনতে পেল বুঝি
আর একটু ক্ষন চুপ করে থাক তোকে দুচোখ ভোরে দেখি
আর একটু ক্ষন ছুঁয়ে থাকি,স্বপ্ন দেখি তোর
এই ছোঁয়া কেই আঁকড়ে ধরে বাঁচবো জীবন ভর
চাইনি তোকে কোনদিন ও চাইবো না তো আর
অভিশাপের বার্তা নিয়ে আসবি কতোবার ?
এবার বুঝি সময় হলো,ওই যে ওরা আসে !
মা রে তোর অভাগী মা তোকেই ভালোবাসে
বর্বরতার পুরুষত্বের ধ্বজা ধারী ওরা
মার  যে তোর সারা শরীর পরাধীনতায় মোড়া
তবুও কেন এই শরীরে আসার এতো টান
মা রে তোর একটুও কি হয়না অভিমান !
যা চলে যা,আসছে ওরা,ছিনিয়ে নেবে তোকে
পুঁতে দেবে,আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে দেবে তোকে
কাঁদিস না আর,বুকের পাটা শক্ত করে ধর
আজ পুড়ে যা,নইলে এমন পুড়বি জীবন ভর.
চোখে আমার জল নেই আর রক্ত পড়ে ঝরে
তাকাস নে মা ওই চোখে আর অমন করুন করে
অভাগী এই মাকে দেনা জেতার অধিকার
ভাগ্যবতী পুত্রবতী হোক সে একটি বার