ফিরবে খোকা
নতমস্তকে পুরোহিত বসে গম্ভীর মুখ করে,
সন্মুখে এক ছেলে হারা মা অস্থির কর জোড়ে
অনেক ভেবে মাথা নেড়ে নেড়ে বিধান দিলেন এই
হয় যদি বলি একশটা পাঁঠা ছেলে তার ফিরবে ই
জমি বাড়ি সব যা ছিলো যেখানে সস্তায় হল বেচা
সব দিয়ে যদি ভেসে যাওয়া সেই ফেরে পরানের বাছা
অবশেষে এলো সেই শুভ ক্ষন
চারিদিকে হুল্লোড়
বলি হবে পাঁঠা,দুলালির বেটা
ফিরবে বছর পর
মাথায় তিলক লাল ধুতি পরে হরিহর রুইদাস
আকণ্ঠ পান,হাতে খড়গ
সেকি উল্লাস
হাঁড়ি কাঠে পড়ে কচি কচি মাথা করুণ আর্তি করে
" ভেসে যায় যাক রক্তের নদী দুলালির বেটা যেন ফেরে "
পুরোহিত বলে " উলু দে তোরা,ঢাকি গুলো কই সব "
ঢাকের আওয়াজে মুখর হয়েছে পাঁঠা বলি উত্সব
দুলালির সেসব পায়না দেখতে চোখ ভরে আছে জলে
" এইবারে খোকা ফিরবেই ঘরে ঠাকুর দেছেন বলে "
মাটি ফুঁড়ে নাকি আকাশের সিঁড়ি বেয়ে
যে পথেই হোক ফিরবে খোকা মার হাসি মুখ চেয়ে
বয়ে চলে যায় রক্তের নদী,দুলালী এক কোণে
অস্থির চোখে অস্থির কানে খোকার   " মা" ডাক শোনে
উত্সব আজ উত্সব হবে আলো মন্দির জুড়ে
দুললির ছিলো এক খানি ঘর সেটাও তো নিলি কেড়ে
খোকা ফিরলে রাখব কথায়,কোথায় খোকার বৌ
কোথায় রাখবো নাতি পুতি গুলো জবাব দেয়না কেউ
বিশ্বাসের ধুঁয়া চারিদিকে উড়ে
অন্ধ করছে তাকে
তবু ভাঙ্গা বুকে স্বপ্নের মেঠো প্রদীপ জ্বেলে রাখে
একবার চায়  মাটির পানে একবার নীল আকাশে
বারে বারে দেখে ওই বুঝি খোকা আসে
আশেপাশে বলে ফিরবে ছেলে মানত কি বিফলে যায় !
দুহাত তুলে দুলালী বলে
" এইবার তুই আয় "