মনের মাঝি


সূর্য কখন অস্ত গেছে,নিঝুম নদীর চর,
মাঝিরা সব নৌকো বেঁধে,গেছে যে যার ঘর .
আমি একা আছি বসে মনের মাঝির আশে ,
আজও ঝড়ের সেরাত খানি চোখের সামনে ভাসে.
মাঝি আমার নৌকো নিয়ে একলা আমায় ছাড়ি .
দিয়েছিল উথাল পাথাল সমুদ্দুরে পারি.
সে ঝড় খানি থেমেগেছে, অনেক দিনের পর ,
আজও মাঝি নৌকো নিয়ে ফেরেনি তার ঘর .
নদীর কূলে জোয়ার ভাঁটা নিত্য দেখি বসে .
আঁধার রাতে জোয়ার আসে ভাঙ্গা বুকের পাশে .
কুঁকড়ে থাকি,লজ্জা ঢাকি,শেকল দিয়ে ঘরে ,
সুযোগ পেলে বাপ,দাদা তোর আঁচল টেনে ধরে .
পেটের ও তো বাড়ছে বয়স একটু একটু করে .
কি করে বল বাঁচব নিয়ে পেটের মানুষটিরে.
ইচ্ছে করে ভেলায় ভেসে নীল সমুদ্দুরে যাই ,
হঠাত্ কোথাও ঢেউয়ের নীচে তোরে যদি পাই !
সবাই বলে তলিয়ে গেছিস,সেদিন ঝড়ের রাতে -
হারিয়ে গেছিস,মিলিয়ে গেছিস,নোনা জলের সাথে .
ছাড়া গোরু বিকেল হলেই আপনি আসে ফিরে .
পাখি ফেরে সকল ফেলে স্বপ্ন সুখের নীড়ে .
অভিমানে মাঝি আমার বাসায় ফেরে নাই .
ভাঙ্গা নদীর দুকূল নিয়ে বলনা কোথায় যাই ?
কোন ঘাটেতে বাঁধবো আমার ছোট্ট সোনার তরী .
বালুচরে বাসর সাজাই,মাঝির আসার আশায় মরি .