স্বপ্ন দেখা


সেদিন শীতের সকাল বেলায়,
দুলতেছিলেম স্বপনদোলায় ,
চিলেকোঠার ছাতে.
একটা দুটো আলোর দেখা,  
পেরিয়ে এলো সরলরেখা,
হাত ছোঁয়ালো হাতে.
ডাকলো আমায় হারিয়ে যেতে,  
মেঘ পেরিয়ে ওদের সাথে,  
সব পেয়েছির দেশে.
সাত সকালে কি পাগলামি !
বাধ্য হয়ে গেলাম আমি
হাওয়ায় ভেসে ভেসে,  
গিয়ে দেখি বিপদ ভারী
মেঘের রাজার লম্বা দাড়ি,
হঠাত্ গেছে খসে.
নেইকো হাসি শুকনো মুখে ,
মাথা গুঁজে গভীর দুখে,  
সিংহাসনে বসে.
দেশের কাজ আর চলছেনা .
কেও একটি কথাও বলছেনা .
বন্ধ প্রবেশদ্বার .
রাজা মরে নিজের জ্বালায় .
মন্ত্রীরা সব আপদ বালায়,
চুকিয়ে পগার পার .
প্রজার মাথায় খড়গ নাচে.  
দাড়িওলা এক পঞ্চু আছে ,
বেঁধে নিয়ে আয় .
কাটবো দাড়ি,সঙ্গে মাথা
এ কেমন তর অসভ্যতা!
সাহস কোথায় পায়?
রাজার দাড়ি চুরি করে,  
বসে আছিস ঘাপটি মেরে,  
ধর্ম ভুলে গিয়ে .
আজকে তোকে ছাড়ছি না .
দেখ প্রাণে তোকে মারছি না.  
যা মুন্ডুখানা দিয়ে .
সবাই বলে রাজার দয়া.  
রক্ষা পেলো পঞ্চু ভায়া
মুন্ডুটিই যা গেছে.
আমি ভাবি হায়রে প্রভু ,
হবু রাজা মন্ত্রী গোবু
মেঘের দেশেও আছে !
সওয়ার হয়ে হাওয়ার ভেলায়.
ফিরে এলাম আবার ধরায় .
কাটলো স্বপন ঘোর.  
স্বপ্ন হলেও সত্যি এটাই
মাটি,আকাশ যে দেশে যাই
ওই পঞ্চু বেটাই চোর.