উই খেয়ে যাওয়া কবিতার খাতা,সঞ্চয়ীতার মলিন পাতায়.
রংচটা কিছু গোলাপের কুঁড়ি ঝরে পড়ে আছে অসহায়তায়..
আনাচে কানাচে মুখ গুঁজে তারা
স্মৃতি আঁকড়াতে চায়.
সময়ের সাথে তালে তাল রেখে
বসন্ত ঝরে যায়!
ন্যাড়া গাছ তবু বাসর সাজায়
ঝরা বকুলের বনে.
ভরা বসন্তে ভরে যাবে ফুলে
স্বপ্নের দিন গোনে..
পলাশের রঙ্গে রাঙ্গিয়ে শরীর
পথ চেয়ে থাকে কার!
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি
বলে যায় বার বার..
যাকে খুঁজে ফেরো আকুল নয়নে
প্রবল শীতের রাতে.
সে বসন্ত চলে গেছে আজ
নেই তোমার অপেক্ষাতে..
চলে গেছে নিয়ে যত রং রস সময়ের পথ ধরে.
ভরা বসন্তের স্মৃতি টুকু রেখে অনায়াসে গেছে ঝরে..
রাত জাগা দেহ বরফ শীতল
শুকনো চোখের কোন.
খড় কুটো টেনে আগুণ জ্বালায়
উষ্ণতা চায় মন.
ছাই চাপা সেই আগুন জ্বালাতে
পলাশের ছোঁয়া খোঁজে.
অভিমানে সে যে নিয়েছে বিদায়
হৃদয় কি আর বোঝে..
বাতাস আজও দিক ভুলে যায় কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে.
সময়ের ঘরে বাঁধা পড়ে তার গতিপথ যায় থেমে.
ঝরা শেফালীর শুকনো পাতায় হেঁটে গেছো বহু দূর.
মন পড়ে থাক ছেঁড়া কাঁথা গায়ে দূরে থাক রোদ্দুর..
ফেলে আসা যত বসন্ত তারা জমুক হৃদয় ভরে.
সেই টুকু শুধু নিয়ে বেঁচে থাকি,বসন্ত গেছে ঝরে..