এখন খুবই জরুরী
তোমার জন্য নিরাপদ
ছিমছাম লাল  রঙের একটি
প্রাইভেট গাড়ি।
(কেননা লাল তোমার খুবই প্রিয় রং )  


তোমার অফিস আছে,
কত জায়গায় কত কাজ ?
রাতে, দুপুরে, বিকালে, সন্ধ্যায়  
পার্টি, মিটিং, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম
তুমি একা একা সিএনজিতে ঘুরে বেড়াও
খুবই আতঙ্কে থাকি
কোথায় কখন কি ঘটে যায় কে জানে ?


ওরা দু’জন ছিল তারপরও
সেদিন দিল্লিতে
চালক ও হেলপারের পৈচাশিকতায়
কেঁপে উঠল পৃথিবী ...


কোন্ শহর এখন নিরাপদ বলো ?
জাকার্তা থেকে নিউইয়র্ক, ভোলা থেকে দিনাজপুর
কোথাও কি  নিরাপত্তা আছে নারীর ?


তুমি আর এভাবে একা একা সিএনজিতে যেও না
কেউ যদি আমার দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে
পথ ছেড়ে তোমাকে বিপথে নিয়ে যায়
তুমি টের-ই পাবেনা । পরদিন
কোন দয়ালু সাংবাদিক পত্রিকায় হেডিং করে    
আটপৌড়ে রমণী থেকে তোমাকে বিখ্যাত বানিয়ে দেবে
আর বড্ড একা হয়ে যাব আমি প্রিয়তমা !
তারচেয়ে কিছুদিন না হয় বাসেই চড়ো
সিট না পেলে দাঁড়িয়েই যেও
তোমার কনুই, গোড়ালী কিম্বা শরীরের
খুব লোভনীয় কোন মাংসপেশীর
ছোঁয়া যদি কোন ভাগ্যবান পেয়েই যায়, যাক
তারপরও তুমি আমার।
আমি জানি, তোমার এখন খুবই জরুরী
নিরাপদ লাল রঙের একটি প্রাইভেট গাড়ী
তার সাথে
খুবই বিশ্বস্ত, সুদর্শন এবং স্বাস্থ্যবান
একজন ড্রাইভার।