আজ থেকে দেড়’শ বছর পর


এই ঢাকা, পুরান ঢাকার শহর
বাড্ডার সরু অলি গলি
মোহাম্মদপুরের বিহারী কলোনী
আগারগাঁ বস্তির হিজিবিজি ঘরবাড়ী
হাজারীবাগের দুর্গন্ধময় ট্যানারী
কোথায় যায় ? কেমন হয় ?
আমি কি তা দেখব না ?


আমার দাদার ছনের ভিটায়
বাবার তৈরী টিনের চালায়
তিনশত ছাব্বিশ তলা ভবনে
সুরঙ্গে চলা হাজার মাইল গতির ট্রেনে
দশ তলা ফ্লাইওভার রাস্তায়
আমি কি চলব না ?
দাদার ভিটায় একরাত্রিও বাস করব না ?


চার’শ আশি কোটি আলোক বর্ষ দূরে
সম্প্রতি পাওয়া পাথুরে গ্রহে
কারা বাস করে ? তাদের খাদ্যাভ্যাস,
পুরুষাঙ্গ, স্ত্রী-যোনি, পাথরের চাষবাস
কিম্বা, আরো দুরের কোন গ্রহের জল
পৃথিবীর পানির মত করে কিনা টলমল
এসব কি আমি জানব না ?


সকালে নাস্তা সেরে চাঁদে
মঙ্গলে একটু বিশ্রাম
ইউরেনাসের শীতল ঘরে লাঞ্চ পেতে
খেতে খেতে চলবে আড্ডা অবিরাম
বিকেলে নেপচুনে চা
সাথে দু’চারটে অনামী ভাঁজা
শনিতে ডিনার করে
প্লুটোতে নিজ ঘরে রাত্রিবাস
আমার কি তা হবে না ?


আমার কেবল বিচার হবে শুনি
রোজা না রাখা, নামাজ না পড়া
সম্মত সঙ্গম, দুর থেকে সুস্তনী
নারী দেখা, কিম্বা কোন ঝরা
ফল কুঁড়িয়ে খাবার অভিশাপে
আরো অনেক কারনে, অনেক পাপে !


আমিও কি মরে যাব ? পূর্বপুরুষদের মতো
হারিয়ে যাব পৃথিবী থেকে
তা কি হয় ?


কে আছ তোমরা ? হে বিজ্ঞান, হে বিজ্ঞানী,
ডাক্তার, কবিরাজ, প্রয়োজনে তাবিজ দাও আনি
তোমরাও কি অসহায় !
এতদিন গেল এখনো কিছুই হল না
একটা মানুষকে দেড়-দু’শ বছর বাঁচাতে পার না ?
সামান্য কাজ, তাও করে রেখেছ অসম্ভব
আমি দেখতে চাই, আগামী দু’শ বছরে
মানুষের অর্জন সব !