ছেলেটির নাম সুমন
মেয়েটির বর্ননা
একজনের মাথা ভর্তি চুল
আর জনের সিঁথিতে হাসে
নীল ঝর্না !


ছেলেটি হিন্দু ছিল
মেয়েটি মুসলমান
দু’জনের হাইট প্রায়
সমান সমান ।


ছেলেটি কবিতা লিখত
মেয়েটি গাইত গান
দু’জন একত্রে হলেই
মিটে যেত  জ্যোৎস্নার অভিমান !


পথের শেষ মাথায়
যেখানে উপ-পথ
সে গ্রামের দুই প্রান্তে
দু’জনার বসত ।


শশ্রুমন্ডিত ছেলের বাবা
শান্ত, নিরীহ, ভদ্রলোক,
অপরপক্ষ কট্টর মৌলানা
গোলগাল, বেজায় পেটুক ।


একদিন যুদ্ধ এলো
গহীন কালো রাতে
চিৎকার, গুলি, আতঙ্ক, আগুন
রক্ত পথে পথে ।


খুব ভোরে উঠে মেয়েটি গেল
দৌঁড়ে ছেলের বাড়ী
পোড়া ঘর, বিকট গন্ধ
কুকুরের কাড়াকাড়ি !


হঠাৎ চোখ গেল মেয়ের
উঠানের এক কোনে
খৎনার কিছু উচ্ছিষ্ট নিচ্ছে
পিঁপড়ের দল টেনে ।


“সুমন” “সুমন” চিৎকারে মেয়ের
উড়ে গেল কিছু কাক
এই কবিতার চিতাটুকু তবে
সমাধির ভিতরেই থাক !