এখন আর কেউ হাঁটে না
কেবলই দৌঁড়ায়
পা যেন পেয়ে গেছে শক্তি ।
ঐশ্বরীয় ভাদুরায় !


সামনে ভাদ্র মাস,
সকালে ঘাসের ডগায় বিন্দু বিন্দু শিশির
মুক্তোর দানার মত সোনারোদে হয়ত জ্বলবে,
শেষরাতে একটু শীত শীত লাগবে জানি,
কেউ কেউ হালকা নকশী কাঁথা বা চাদর নেবে
শরতের শুভ্রাকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া শুভ্র মেঘ
সাইবেরিয়ার দিকে যাবে
হেলে দুলে নব্য হাঁটতে শেখা শিশুর মতো ।  
আমরাও পেয়ে যাব কার্তিকের আগমনী গান ।


বয়ঃপ্রাপ্ত সব কুক্কুরী ঋতুবতী হবে
তরল কস্তুরীর বিস্তৃত সুঘ্রানে
উন্মত্ত হয়ে উঠবে কুকুরের পাল
পিছু পিছু ছুটে দুর্দান্ত পরিশ্রমের পর
রাস্তার পাশে দৃশ্যমান মিলন হবে
এখানে ওখানে একে একে পালের সমস্ত কুকুর ।

সামনে ভাদ্র মাস, তালপাকা তাপদাহে
প্রাপ্তির তৃপ্ততায় ছেঁয়ে যাবে অন্তর
কার্তিকের শেষে এসে শষ্য ও ধুসর সঙ্গীতে
ভরে যাবে কৃষাণীর আধখোলা ঢেঁকিঘর


কুকুরের কোন পিতা থাকে না
কুক্কুরীও জানেনা,
কার অমৃতে জন্মানো তার সন্তান ।


কেউ কেউ কারন ও অকারনে দরজার কড়া নেড়ে
কেবলই রাত্রি জাগায়
কখনো প্রোথিত করে, কখনো প্রোথিত হয় নিজেই
ভেটকি মাছের মুখ শুকনো হলেই
পটকা মাছের ন্যায় কুঁচকে যায়
ভেটকি নিজেকে সতী বলে ঘোষণা করতে পারে
কারো কিছু বলার থাকেনা তখন ?