আজকাল ঘুমুলেই তোমাকে দেখি ।
স্পর্শ পাই, নিবিড় সান্নিধ্যে কাছাকাছি,
তোমার-ই শব্দে জেগে উঠে দেখি
তুমি নেই !


আজকাল ঘুমুলেই তোমাকে দেখি,
এতো বেশী নির্জন ! এতো বেশী কাছাকাছি,
পাশাপাশি বসে থাকি, কথা হয় চোখে চোখে
নিঃশব্দ চাঁদের মতন !


কোলের উপর পড়ে থাকা দু’টি হাত
যেন জন্ম জন্ম সমর্পন
এ কেমন স্মৃতির বিভ্রম ?


তারপর নিরবতা কেটে যায়,
একটি ইঁদুর কুট কুট করে কাঁটে
কেঁটে কেঁটে খায় প্রিয়তমা শেফালী ।
সুনীল সুতনু রেখায় ঝুলে থাকে একটি বাদুর
সারাদিন । প্রতিদিন ভগ্নাংশ হতে হতে
অণুতে পারমাণুতে মিলায় ।


দরোজা খুললেই দেখি-
আজকাল তুমিও দাঁড়িয়ে আছো দরোজায়,
হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে যায় আঙুলে আঙুল,
এত বেশী কাছাকাছি !
কি দুস্তর পারাবার তবু ?
মনে হয়, জন্ম জন্ম হেঁটেও পার হওয়া যাবে না
এ পথ
এত বেশী দুরে, এত বেশী কাছাকাছি তবুও !


প্রথাসিদ্ধ, আবার আসে রাত,
রাত্রি এলেই তন্দ্রা আসে
তন্দ্রা এলেই তুমি আসো
ধাতব হাসিতে ঝরে স্বপ্নের মন্জুরী
তনুর তিমিরে তোল ঝড়,
এ কেমন স্মৃতি ?
এ কেমন ভুল ?
শেফালিকা প্রিয়তমা ?


এইভাবে কতটুকু হওয়া যায় প্রেম ?
কতটুকু হওয়া যায় রাত্রির বিনিদ্র ঘাতক !