ভাগ্যিস, সেদিন ভীষণ অসুখ করেছিল ।


হাসপাতালে আমাকে দেখতে এলে,
শিয়রের পাশে বসে কপালে রাখলে হাত
বললে-“ এখোন কেমন আছো ” ?


ভীষণ ভাল থাকার মুগ্ধতায়
আমার আর বলা হয়ে উঠেনি- সুচরিতা,
আমি ভাল আছি, এতো ভাল  ছিলাম না কখনো
এতোটা সুস্থ্য, এতোটা সবল, এতোটা ধ্যানী
তোমাকে দেখার পর কোনদিন আর !


আমার এই মৌনতা বেদনার বৃন্ত ভেবে
আমার এই নৈঃশব্দ দুঃখের শ্বাসকষ্ট ভেবে
লোমশ বন্ধুর বুকে বুলালে হাত,
বিধ্বস্ত বুকের আদিম উত্তাপে ঘেমে উঠল দুটি চোখ,
ভাগ্যিস সেদিন হয়েছিল অসুখ !


আহা ! অসুখ ! আমার প্রিয়দর্শিনী অসুখ,
তুমি দীর্ঘায়ু হও, বেঁচে থাক
হাসপাতালের এই নির্জন কক্ষে
আমার ধবধবে শাদা নরোম বিছানায় আজন্ম লুটোপুটি খাও
আমাকে ছেড়ে কোথ্থাও যেয়ো নাকো তুমি আর !


তুমি অসুখের এতো কাছাকাছি থাকো, প্রেম ?
বেদনায় তোমার এতোটা বিশ্বাস, ভালবাসা ?
জানিনি-
বুঝিনি, তুমি লোকালয়েই কেবল নিষ্ঠুর
সংসারেই কেবল স্বার্থপর !
তাহলে আমিও হাসপাতালেই সাজাতাম বাসর ।