২১/০৮/২০১৪
প্রিয় মিলুবাবু,
ঈশ্বরের অসীম কৃপায় জানি ভাল আছেন ।
আর সবাই এখন কে কোথায় ?    
বাটিতে যান না আজ কতকাল ?
আপনার পশ্চিমের আঙিনা ঘেঁষে মহাসড়ক
দক্ষিনে শুনেছি বিরাট হাসপাতাল হবে, আর
উত্তরে পুরাতন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ।
দেড় একর জমির উপর সেই গোলপাতার ঘর
যেখানে পড়ে আছে
শ্রীমতি লাবণ্যপ্রভার সুখময় স্বপ্নীল বাসর!
তাঁর সযত্ন লালিত তুলশী তলা
পুরোনো গাছ ফেলা জলের ঘাটলা
পুকুরের কচুরি ফুল, ডাঙার বড় জবা গাছ
যেখানে বসে লিখেছিলেন শ্রীমতি কুসুম কুমারী দাস
“আর্দশ ছেলে” নামক প্রসিদ্ধ কবিতাখানি
কতদিন গোড়ায় তার হয়না জলের সিঞ্চনি !
পিসিমা স্নেহলতা, নিয়োগ করেছেন এক আমমোক্তার
কিছুই যায় না বোঝা হাবভাব তার
কচি পায়ে যে উঠোনে সারাদিন করে খেলা
মঞ্জুশ্রী, শ্যামারন্দ্র কাটিয়েছেন তাদের ছেলেবেলা
আপনি কি জানেন ? আপনার উঠোনে আজ
চড়ছে ঘুঘু, ধান খেয়ে যাচ্ছে কিছু মহা ফন্দিবাজ ?
আপনার জরুরী বাড়ি আসা উচিৎ বাবু
“ধানসিড়ি” এখন তেভাগা আন্দোলনে কাবু
ভাইপোর সম্পত্তি কতটুকু পায় পিতার বোন
আপনারা শিক্ষিত মানুষ তা জানেন বিলক্ষণ !
আমমোক্তার সমস্ত সম্পত্তি দিয়েছেন বেচে
জনৈক আব্দুর রাজ্জাক কিনে নিয়েছেন যেচে
ডেপুটি সাহেব লম্বা মানুষ, লম্বা মুখের মোচ
বা‘হাতে তা দিয়ে ডানহাতে দিয়েছেন কলমের এক পোচ
বাড়ী আপনার নিলামে নিয়েছেন সেই রাজ্জাক ভাই
তাহাকে আর অবৈধ বলার সাহস কাহারো নাই
সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ, রাজ্জাক সাহেব মিলে
আপনার বাড়ীর বৃক্ষ ছায়ায় বসে তিন তাস খেলে ।


                      


                    মিলু=জীবনানন্দ দাশের ডাকনাম ।