৩১/০৮/২০১৪


হে স্বপ্নদ্রষ্টা কবি,
“ধানসিড়ি” ছিল বাংলা ভাষাভাষীর
প্রেরণার এক ছবি ।
আপনার উদাসীনতায়
ইট পাথরের পলেস্তারায়,
সে ছবি মুছে যায় !
হে কবি,
রূপসী বাংলার কবি,
নিজেই বলেছিলেন, খুবই অহংকার করে
বার বার আসিবেন ফিরে
শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে
এই মাটি আর এই দেশে
শ্যামলে, সবুজে ঢাকা, পাখিডাকা বাংলাদেশে !
কি আর্শ্চয্য্ !পর পর লিখলাম দুই চিঠি
কোন সাড়া নেই, স্বান্তনার জন্য হলেও
পাঠাতে পারতেন বানী দু’একটি
জানি, কবি কখনো ফেরে না  
অভিমান করে গেলে,
জন্মভূমির সাথে অভিমান করা  
কবির কি কখনো চলে ?
শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে
একবার এসে
ডেকে বলুন, “হে নব্য কবিকূল, স্বপ্নদ্রষ্টা কবির চেয়ে
বড় নয় কেউ আর
বিজ্ঞাণের যত অগ্রযাত্রা
অবদান সব শিল্পী ও কবিতার !
রাইট ভাইদের পিতৃপুরুষও
জন্মেছিলেন কিনা কে জানে
ভিঞ্চি এঁকেছিলেন বিমানের ছবি
তাঁর তুলির টানে ।
নীল আর্মষ্ট্রং চাঁদে যাবারও
হাজার বছর আগে
কবি দেখেছেন প্রিয়ার মুখ
চন্দ্রের পোড়া দাগে” !
সেই কবির বাড়ীতে ডাষ্টবিন,
মাদক সেবীর আড্ডা
কিছু বললেই হুমকী আসে
ভেঙ্গে দেবে নাকি ঘাড়টা
রাজ্জাক সাহেবের সুপুত্র
মিষ্টার জলিল ফারুক
এসবের মধ্যে অতিশয়
এক বিবেকবান লোক
ধানসিড়ি’র স্মৃতিস্বরুপ ঘরের দুটি খুঁটি
রেখে দিয়েছেন যত্ন করে,
সাথে গোলপাতা এক মুঠি
হয়ত তিনি শিষ্য ছিলেন
ডেপুটি ছিল তার গুরু
উঠোনের এক কোনে দাঁড়ানো দেখবেন
বনলতা সেনের অনাবৃত দুই উরু !