শারদীয়া ত্রয়োদশী।
মেঘহীন আকাশে গোলগাল পূর্ণিমা চাঁদ
তোমার বুকের মত সমস্ত ছাদ জুড়ে
ধবধবে জোছনা ;
দিগন্তের বাঁকে বাঁকে শ্বেতপাথরের চোখ
যাদুর চাদরে মোড়া বেঘোর কামুক !


কতদিন দেখি না তোমাকে ?
ঐ বুকে মুখ রাখি না কতকাল ?
কতদিন যাই না কবিতার বাড়ি ?
খেয়া ঘাটের মাঝির নৌকায় ?
সোনাডাঙ্গার ছোট্ট ঘরে ?


তুমি ভালো আছো তো প্রিয়তমা ?
কি যে দিনকাল পড়েছে এখন !
ফল ও বীজে, সবুজে, হলুদে
স্নেহে, মমতায়
কণ্ঠ, জিহ্বায়, অসুখ ও সুস্বাস্থ্যে
কোথাও আস্থা নেই, কাউকেই বিশ্বাস নেই
বিরহ ভালোবাসায়, প্রেম বা পরিণয়ে ।


তোমাকে দেখব বলে
যখন-ই  বাড়াই পা,
কেবলই আটকে যাই
সংসারের ঘূর্ণাবর্তে, ন্যাপকিনের ফিতায়,
ভয়ানক ট্রাফিক জ্যামে, কাঁচা বাজারে,
রাজনীতির জটিল জঙ্ঘায় !


তুমি ভালো আছো তো প্রিয়তমা ?
এখানে খুব দুঃসময় এখন !
রাজপথে, জনারণ্যে, ভয়ংকর সব জন্তু  ও জানোয়ার
প্রকাশে চলে যায় বুক চিতিয়ে ।


ডিমে তা দেয়া অজগরের মত
একদম গুটিয়ে কাটাই দিন
আশংকায়, আতঙ্কে !
বলাতো যায়না,
কে কখোন গুম করে ফেলে
কিম্বা কখোন কোথায় ক্রশফায়ারে পড়ে যাই !