তুমি হাসলে
পৃথিবীর সব বৃক্ষ কবি হয়
দুর নিলীমায় ডানা মেলে সমস্ত কবুতর ।


তোমার হাতে
যদি অলক্ষ্যে শব্দ তোলে ঐ কাঁকন
হিমালয় হঠাৎ বন্ধ্যা হয়
ঝর্ণার কল্ কল্ ধ্বনী শুষে নেয় বালির সোহাগ !


কখনো যদি
চোখের পল্লব তুলে একটু চাও
হঠাৎ দিকভ্রম হয় সূর্যমূখীর
ভীষণ লজ্জায় ঝরে যায় সমস্ত গোলাপ !


তুমি কাঁদলে
মেঘেরা ভীষণ বিনয়ী হয়
তালগোল পাকিয়ে যায় ঋতুতে ঋতুতে
মাঘেও দেখা দেয় ঘনঘোর বরষা ।
চন্দ্রমল্লিকারা ভীষণ বিদ্রোহী হয়ে উঠে
চিরস্থায়ী অমাবশ্যায় ছেয়ে যায় পৃথিবী
তখন আর কোন পার্থক্য থাকে না
সকাল ও সন্ধ্যায় ।


তোমার অভিমানে পৃথিবীতে হরতাল হয়
কবরের স্তব্ধতা নামে
ভাষা হারায় মানুষ, পাখি ও বৃক্ষেরা মাতামাতি ভুলে
নিজেরাই খুঁড়ে খায় ক্ষুব্ধ মনন ।


সরল পাপড়িরা ফুলের ক্রমাগত ঝরে
এলোচুল একটু উদাস হলে
ভুল করে শুধু ভুল হয়, লয় ও তালে
জীবনের সঙ্গীতে, যৌবনের কবিতায় ।


বহতা নদীর স্রোত হঠাৎ থমকে যায়
বিজলীর চমকে গমকে উঠে আকাশ
বৃষ্টির বেদনায় প্রলয়ী বৈশাখ আসে
জানালার পাশে দাঁড়ায় এসে হাহাকার !


তোমার নিষ্ঠুর অহংকার !
রাত্রির শিরায় শিরায়, নিতম্বের হুলুস্থুল মাংস পিন্ডে
তীব্র জ্বর আনে, আর এক বিশাল মশা
তার দানবীয় হুলে রাতভর দিয়ে যায় ব্যথার স্যালাইন ।


এতোসব নাটকের ভিড়ে
হে লাস্যময়ী,
কেন তোমাকেই ভালবাসি এতো ?
কেন তোমাকেই ভালবাসি ?