নায়ের তরঙ্গে উদ্বেল ভাসমান লাল, সাদা, নীল
আমার শৈশব ছিল শাপলা ফোটা খল্লাপাড়া বিল
হেমন্তের ডাক পেলে ছুটে গেছি শিশির ভেজা আদুল পায়
পূর্ব পুরুষের পদাঙ্ক বেয়ে সোনা তুলে ভরেছি গোলায়
শীত কাটিয়েছি কুনো ব্যাঙ সেজে, দিন গুনেছি বসন্তের
দখিন হাওয়ার ঝরা পাতা, ফুল ফোটাবে আনন্দের
দূরন্ত সব পাখির সাথে আমার গ্রীস্ম মধুময়
ছয় ঋতুর এই ঘূর্ণাবর্তে বেশ তো জীবন কাব্যময় !
স্কুলের আগে দোলনায় দুলে শিখিয়েছিলাম গুনের নামতা
তখন-ই কি মেখেছিলি দু’পায়ে তোর বিপরীত আলতা ?
আমার কর্মব্যস্ত দিন, তোর স্বপ্নের শহরে উচ্ছ্বাসী রাত
অন্ধকারে, আমার ঘুমের ঘোরে তোর সোনালী প্রভাত ।
একবারও কি ভেবেছিস তুই ? তোকে ছাড়া আমার বুক
শূন্য কেমন ? কোথায় পাবে আলো খুঁজে দুটি চোখ ?
তুই-ই ছিলি নয়নের আলো চন্দ্রহারা অমাবশ্যায়
তোকে ছাড়া আজ হাহাকার ঘরে হয়ে গেছি বড় অসহায় !