তোমার মুখ কখনই চাঁদের মতো ছিল না
বড়জোর, ডাবের ফালির মত বলা যেত
অথচ, তোমাকেই চন্দ্রমূখী বলে
আমি চাঁদকে অপমান করেছি ।


সুতানলী সাপের মত আঁকাবাঁকা সরু চুল
গোল ঘুঘুর বাসার মত ভাসমান চোখ
অথচ তোমাকেই বনলতা সেন বলে
জীবনানন্দকে আমি বিস্মিত করেছি ।


তোমার আঙুল কখনই পাঁপড়ির মত ছিল না
বড়জোর ঐ হাত কবর খোঁড়ার হাতিয়ার বলা যেত
অথচ তাকেই পেলব পুস্প বলে
পদ্মকে আমি ভীষণ লজ্জিত করেছি !


চিত্রিত উড়ন্ত ওড়নার আঁচল প্রজাপতির ডানা ছিল না
বিশাল বুকের অহঙ্কার বলা যেত
অথচ তোমাকেই প্রজাপতি বলে
সৃষ্টির কাছে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছি ।


এভাবেই ভুল করে মানুষ
ভুল করে গড়ে ভুলের বসত ।
নিঃস্বর্গের ভ্রুকুটি সত্যকে বিদ্ধ করে
প্রকৃতি তখন আর কাউকেই ক্ষমা করে না ।