একটি উপমার খোঁজে
অনেক বিদগ্ধজন, পুস্তক ও পন্ডিত
ওলামায়ে কেরাম, ধর্মদ্রোহী এবং
সাধারন মানুষের কাছে হাত পেতে
ফিরেছি অনেক দিন ।


কোদালকে “ক্ষনিত্র” বলে
কোন কোন কবির মতন অনাবশ্যক জটিলতায়
নিজেকে দুর্বোধ্য করে
আমাকে বোঝাতে যেয়ে নিজেরাই বনেছেন মস্ত বেকুব !


আমার  স্ত্রীকে বলেছি-“দেখো”
আমাদের পোষা কবুতর,
যেখানেই যাক, যতদুরে
কেমন ঠিক ঠিক ফেরে
সময় মত চিনে নেয় ঘর ।


লাঠিপেটা করে তাড়াও
কিম্বা চোখ বেঁধে কোথাও রেখে আস দুর
নিজের ফেলে যাওয়া নিঃশ্বাস
বা পেশাবের গন্ধ শুঁকে
ঠিকই ফিরে বিড়াল, কুকুর ।


ভালবেসে ফিরে যাওয়া মানুষ
প্রবল আত্যাভিমানে সব ভুলে যায়-
ভুলে যেতে পারে পোষ্যতা, সহবাস
তার নিঃশ্বাসও পড়ে থাকে না, পায়ের ছাপ
গন্ধ হারিয়ে যায়, ভালবাসা , লালন পালন ।


সেই যে অভিমান করে গেল
আর কি ফিরে এল পৌষী রত্নাকর
আর কি ফিরবে কোনদিন ?
আমিও কি গেলাম ?
মানুষের মতোই হয়ত যাব না আর !


আমি তো কুকুর নই বা কোন পোষা বিড়াল,
পৌষীও নয় কারো শখের লালিত পাখি,
ভালবাসার কৃতঘ্নতায় আমাদের রয়েছে অবাধ ক্ষমা ।
কার সাথে দিতে পারি বলো ?
কার সাথে দেব এইসব মানুষের উপমা ?