আজ একজনের গল্প বলবো ।
সব ব্যাপারে নিখুঁত হতে চাইতো সে
অন্ধবিশ্বাসের কাছে হেরে গেছে
যুগের জীবন ।
সারাদিন তাকে তীক্ষ্ম উচ্চস্বরে
ভক্তিসংগীত শোনানো হয় এখন ।
সে নাকি দেবতাকে
হৃদয়ে বন্দী রেখেছিলো ।
ঘনঘন প্রশ্ন ওঠে
দলবেঁধে একজোটে
ভক্তির কৈফিয়ৎ চায় তারা ।
হুকুমনামা না মানায়
তার কবিতার দিকে
পাথরবৃষ্টি হয় ।
তার কবিতার অপমৃত্যুর আগে
কোনো সুন্দর মুখ ভেসেছিলো চোখে শেষবার ? অথবা দেখেছিলো সে
আতঙ্কের অদ্ভুত আকৃতি ?
সব দরোজা জানালা খোলা ছিলো তার
সবার জন্যে সবসময় ;
অথচ সমস্ত , কিছু , কোনো-না-কোনো দরোজা ক্রমান্বয়ে রুদ্ধ হয়ে গেছে
তারজন্যে।
ভারসাম্য সচেতনতারা বুঝে গেছে তারা কাল্পনিক ।
যা কিছু ভঙ্গুর
ভেঙে যাওয়াই তার অস্তিত্বের প্রমাণ ; তার জন্মই হয়েছিলো ভেঙে যেতে ?
যেদিন সে এটা  বুঝলো নিখুঁতভাবে,
সেদিন সে হারিয়ে ফেললো দিশা ;
কম্পাস ছেড়ে গেলো তাকে ।
ছন্নছাড়া তার সমগ্রকে
কেউ সংকলন করলোনা কোনোদিন ;
তাই সে পারলোনা
একটা বই হতে।
এমনভাবে কবিতাগুলোকে
পুঁতে দিলো তারা
কোনো মাইলফলক হতে পারলো না ।
মুখ দেখানোর মতো মুখ নেই বোলে
তার হৃদয়ের আয়না কেড়ে নিলো দ্বেষী মানুষেরা ।
পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা
একবাক্যে সবাই স্বীকার করে নেবে আজ।
শুধু আছে তার ভুল ।
ক্ষমাও চায় না সে ।
না বলে ফুটেছে তাই
ক্ষমা চায় নাকি
এমনকি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র  কোনো
পৃথিবীর ফুল ?