অজ্ঞানতার অন্ধকারের মানুষ যবে
প্রথম এ বিশ্বের আলোকে করেছিল মুখরিত ।
অজানা ভবিষ্যতের ক্ষুদ্র রশ্মির নাম তখন সভ্যতা ।


সে ছিল প্রথম পদক্ষেপ, সূচনা লড়াকু মানসিকতার ।
ঝির ঝির করা বৃষ্টি, থর থর বেগে হাওয়া ,
ঝা ঝা করা সূর্য এ সবই আরোপিত ।


আর ছিল মানুষ , মুখে তাদের ভাষা ।
ভাষা কথা বলার , ভাষা নিজেকে বোঝানোর
মুক্তিবেগের দুরন্তও গতিকে উপেক্ষা করে
ভাষা আজও আমাদের মুখে , সেই আ মরি বাংলা ভাষা ।


এসেছে শক হুন দল মোঘল পাঠান
কেঁদে গেছে তাতিয়া টোপীর মুক্তি যোদ্ধারা ।
তবে এ নয় সেই সংগ্রাম, এ নয় মাটির যুদ্ধ ।
এ লড়াই আবেগের
এ লড়াই বিজ্ঞান চেতনার উদ্ধে সচেতনতার লড়াই।


তাই স্মরি মোরা আজও তোমায় হৃদয়ের ব্যাথা দিয়ে
আপ্লুত হই ভেবে হে একুশে ফেব্রুয়ারি ।


আজ আমি আছি তুমি আছ সবাই টিকে আছি
নেই শধু তারা যাদের হারিয়ে ফেলেছি ।
আজ আমরা ছুতে পেরেছি মহাকাশ  
দিয়েছি প্রকৃতির উপর বালির বাঁধ
আজ আমরা আধুনিক ।


তবে এই আধুনিকতার ছোঁয়া কি শুধু ঐতিহ্যশালী ?
হে বাঙালি মা কে যে তোরা হেলায় হারালি ।
ভুলে গেলি সেই ১৯৫২ সাল ?


আমাদের অনীহা নেই অন্য ভাষা শেখার ।
দাবী ছিল শুধু মা বলব নিজ মাতৃ ভাষার ।
সেদিন সকালে ঢাকার রাস্তায় দাড়িয়ে বলেছিলাম
বাংলাকে ভাঙতে পারি কিন্তু ভুলতে পারি না ।
এপার অপার কর তবে অবাঙালী হও না ।


জানি আমাদের ভবিষ্যৎ মুখ তুলে আছে ।
বলছে চেয়ে দেখ চেয়ে দেখ এই ধুম্র আলো ।
এ আলোর ঘনত্ব বেশি এ আলো শুধুই সাদা ।
রঙ্গিন পরিবেশ কালোয় ভরা ধোয়ার সুতোয় বাধা ।


জানি একদিন হারাব সব নিশানা যা কলমের ঠোটে আঁকা ।
নিঃস্ব এ পৃথিবীর থামবে না ঘোরা, থামবে না চেয়ে থাকা ।


পড়ে থাকবে অতীত যা আজও পড়ে আছে ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি হয়ত ইতিহাসের পাতায় বাচে ।