তোমায় কোথায় যেন দেখেছি,
কত যেন চেনা ।
শরতের ফুল যেন কাশফুলে মেলে ,
রজনীগন্ধার মত তুমি যেন এলে ।
তাণ্ডব চলছে তখন স্মৃতির বড়াই নিয়ে ।
তুমি এলে, তাই স্মৃতি গেল হারিয়ে ।
তবু মনে পরছে না তোমায় কোথায় যেন দেখেছি ?


তোমার নামটা আমি জানি
কত যেন চেনা !
উপসংহার হয়নি তখন সূচনা থেকে শুরু ।
ফুলের পাপড়ি তোমার ঠোট করেছে পুরু ।
নাম হল নন্দিনী , আমার চোখের স্নিগ্ধ ।
কাজল টানা নয়ন আমায় করে দগ্ধ ।
শুধু মনে পরছে না , নামটা কেন আমি জানি ?

মনে পড়ছে, তোমায় আমি চিনি ।
কত যেন চেনা ।
সেই রাজপ্রসাদে পড়েছে আলো তোমায় দেখেছি ।
ফুটে উঠা অভিমানে, ফুপিয়ে কান্নায় তোমায় চিনেছি ।  
তুমি বললে হারাবে না, হারালাম চেনা এক ছবি ।
রাজার প্রশ্রয়কে ঘৃণা করেছো, পড়েছ রক্তকরবী।
তুমি চেনা , তুমি সুচনা ,
তুমি আমার চোখের সেই নন্দিনী ।