বসন্তের ঝড়াপাতা আজ মুঠোর মধ্যে ধরে
আগামি শর্ত পূরণে দেহটি নগ্ন বিরাজ করে ।
শীতল কি চায় গ্রীষ্ম তপন ভুলে বারিতে থাকুক ।
চোখের বারি তখন ফোটে হৃদয় যখন সর্বভুক ।
আশ্বিনে ভাসা কাশের গন্ধ নাকে লাগে না আর ।
বারো ঋতুর এই বঙ্গ বইতে পারে না ঋতু ভার ।
নিম্নগতির আস্ফালন মনে অসম্ভব জোয়ার বয়ে আনে ।
তাই তো এই মুখবন্ধ কবি হাতের রেখায় টানে ।
ধাবিত প্লাবন আজও ধেয়ে যায় নদীবক্ষ ছাড়িয়ে
ঢেউ শুধু নেয় না কিছু সবই দেয় ফিরিয়ে ।
স্তনগ্রন্থি নিস্ক্রিয়, পুরুষ তাই সোজা করেছে মেরু ।
মনের সূক্ষ্মভারে সৈনিক পুরুষ আখ্যা পেয়েছে ভিরু ।
এ দুঃখের পরিস্ফুটনে এই কাব্য জন্ম নিল
জীবিত বা মৃত জীবাশ্ম, অতীত ফিরিয়ে দিল ।
পরিচয় কঠিন তবে বধগম্য যে যুক্তিটা কি ।
বিদীর্ণ এই সমাজে মানুষ চিরকালই বর্বর জাতি ।
এই আকাঙ্ক্ষা প্রান্ত শেষে বমাতঙ্কে থাকে ।
বিশ্বায়ন আর দূষণে ইউক্যালিপটাস কি আর ফোটে ?
ছয় ঋতুর তেরো পার্বণে ধরিত্রি যেন আজ যৌন ।
প্রতিজ্ঞা রইল মুখে বলব না , হাত কেন থাকবে মৌন !