ভালোবাসার অঙ্কুরোদগম কবিতাটি যার লেখা পড়তে পড়তে আমি প্রেরণা পেলাম তিনি হচ্ছেন আসরের প্রাণের প্রিয় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল। উনার উপহার আমাকে এতটাই উৎসাহিত বিমোহিত করল যে মন্তব্য লিখতে গিয়ে বার বার ফিরে এলাম এবং কলম ধরতেই এই লেখাটির জন্ম। তাই আমিও শ্রদ্ধা ভরে লেখাটি প্রিয় কবিকে উৎসর্গ করছি।


ভালোবাসাহীন তীব্র ক্ষরায় ভেজা মাটিরা শুকিয়ে চৌচির।
সবুজ লতা গুল্ম মৃত্যুর দিন গুণছে অহরহ তপ্ত দাহে,


হঠাৎ ভালোবাসা নামক এক পশলা বৃষ্টি স্নানে মৃত প্রায় বীজটির অঙ্কুরোদ্গম।
সবজু পাখা মেলে মাটির গন্ধ মেখে ভূমিষ্ঠ হয় পৃথিবী গর্ভে।


রঙিন প্রজাপতি রঙ ছড়িয়ে আবদ্ধ
গুহা ছেড়ে দীপ্ত কিরণে পাখা ঝাপটায়।


যে গুল্ম লতা আজ মরতে বসেছিল তেজদীপ্ত দাহে,
হারাতে চেয়েছিল নিজেকে অমিয় ধারায়, সেই লতা আজ
ফলবতী পুষ্পের মুগ্ধতা ছড়ায় নিজেরই অঙ্গ সজ্জায়।


আর ভালোবাসাহীন তেজস্বী খরা মুখ থুবরে পড়ে নিরালায়,
নয়তো আঁধারেই মুখ লুকায়।


আজ পূর্ণতা পেল শুধুই ভালোবাসার।
বিশ্বকে যে করতে পারে জয় তার তীক্ষ্ণ শক্তি বলে
সেই নাম ভালোবাসা।


ভালোবাসা তোমার শক্তি প্রবল
সমগ্র বিশ্বকে তুমি কর জয়।


তোমার নাম হোক স্বর্ণসম
চির উজ্জ্বল ধ্রুব তারা..


প্রজ্জ্বলিত হোক দিকে দিকে
তোমার অনির্বাণ শিখায়।