ব্যাঙেদের হইচই পানি পেয়ে ক্ষেতে,
সুখ সুখ ভাবনায় ওরা যেন মেতে।
ফণী এসে কত প্রাণ নিয়ে  গেল উড়ে,
বাড়ি ঘর গাছ পালা আছে ভেঙ্গে চূড়ে।
পাকা ধানে মই দিয়ে গেল চলে ফণী,
শত ক্ষত মনে লয়ে কাঁদে কৃষক গণি।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে করেছে চাষ জমি,
ফণী এসে ফণা তুলে করল মাতলামী।
মাথায় হাত দিয়ে গণি ভাবছে কি হবে?
চাল চূলো সবই গেল কাটবে জীবন অভাবে।
কত সুখ মনে লয়ে (গণি) মেয়ে দিল বিয়ে,
ফণীদের ফণাতে বর মেয়ে আছে মরে শুয়ে।
গণি মিয়ার চোখ বেয়ে নেমে আসে জল,
ভাঙ্গা চূড়া সব ধরে  কাঁদে অনর্গল।
এত ব্যথা মন জুড়ে কেউ নাই পাশে,
একটাই মেয়ে ছিল সেও জলে ভাসে।
মা গেল সিডরে মেয়ে গেল এখন,
একে একে সব গেল কেউ নাই আপন।
হায়! আমার বিধাতা এই তোমার খেলা।
মর্মে মর্মে ভোগাও তুমি না যায় কারো ভুলা।
গণি মিয়া অতি শোকে  হল যেন পাথর,
প্রতিবেশী স্বজনরা তার শোকে কাতর।