বাংলা কবিতার স্মারক


হে বাঙালি আবার তোমার রক্ত ঝরাও সবুজ স্বর্ণালী মানস গর্ভে, রক্ত স্রোতে ভরিয়ে দাও পদ্মা মেঘনা যমুনা প্লাবিত করো তীর হতে তীর।


রঞ্জিত করা অশনি বিবেক খন্ড বিখন্ড করো মন্দতার পরাশক্তি, বিদগ্ধ কর অজ্ঞতা ও অসম্মান।


হে বাঙালি অস্ত্র হাতে যুদ্ধে চলো সিনিয়ে আনো মায়ের আত্মসম্মান। যে নারীর রক্ত স্রোতে ভাসমান ভ্রুণ পেয়েছিল প্রাণ বাঁচাও তার সম্ভ্রম। তোমার হাতের শক্ত মুঠিতে আছে ৫২ ৬৯ আর ৭১ এর ফেষ্টুন ও প্লেকার্ড,


কন্ঠ তোরণে বাজুক তেজস্বী শ্লোগান তবুও ফিরিয়ে আনো সম্ভ্রম। মুছে দাও ঘর্মে ভেজা আঁচলে ঢাকা বুকফাটা কান্নার নোনা জল।


যারা সমাজে কদর্য ছড়ায় বিশুদ্ধ বাতাসে খর্ব করে মায়ের আত্মত্যাগ, লুণ্ঠিত করে দুধের শিশুর জীবনের আয়ু ধ্বংস করো তাদের। টুকরো টুকরো কর লালসার অস্থি মজ্জা, কামুকতার শক্ত হুল, বিচ্যুত করো টুটি।


হে বাঙালি কাঁপিয়ে তোলো ধরণী, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সিনিয়ে আন ন্যায়ের সিন্ধু। আর নয় অসম আত্মার জয়জয়কার, আর নয় গোপন আঁধারে কামুক আত্মার মৌন মিছিল।


হে বাঙালি উন্নত হও সততার পোশাকে হও আবৃত। চলো একসাথে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ি, উৎখাত করি বিকৃত মানসিকতার। পবিত্রতার আলো ছড়াই দিকে দিকে সততার দুর্গ গড়ি বাহুবলে।