-আমি মেঘ হয়েই উড়ে যেতে পারতাম তোমার ভাটি
অঞ্চল পেরিয়ে দূরের কোনো উঁচু পাহাড় চূড়ায়। সাকা
হাফং, তাজিংডং, মোদক মুয়াল, দুমলং, জোগি হাফং,
কপিতাল কিংবা নাসাই হুং।


নেমে আসতে পারতাম অসংখ্য নদীর অববাহিকায়,
নাভীমূলে, স্তনে কিংবা নিতম্বে। চিত্রা, ডাকাতিয়া, ধলেশ্বরী, গঙ্গা-পদ্মা, কর্ণফুলী, মধুমতী, সুরমা কিংবা মেঘনার
টইটুম্বুর ঠোঁটে।
-----
তোমার অঞ্চল ছুঁয়েও আমার ভাগ বসাবার রাস্তা ছিলো
অধীর আকাঙ্ক্ষার পার্শ্ববর্তী ভিনদেশী থর মরুভূমিতে।


অথচ
তোমার থরথর কাঁপা বুকের তৃষ্ণা নিবারণ করার জন্য
আমি বৃষ্টি কিংবা জল হয়ে আকাশ থেকে নেমেছিলাম
তোমার নামমাত্র ডাকে।


তুমি বুঝেও বুঝোনি আমায়,
গলা ভিজিয়ে ফেলে দিয়েছো অবহেলার নর্দমায়।


তুমি জানো না!
নর্দমার জলও সুরঙ্গ গড়িয়ে মিশে যেতে পারার সাধ্য রাখে
নদীর তরঙ্গে।
নদীর জল মেঘ হয়ে দখল দেওয়ার সাধ্য রাখে আকাশের
জংশনে।


তোমার মাথার উপর আকাশের রেললাইনে আবার আমি
চড়ে বেড়াবো মেঘের সাদাকালো রেলগাড়ি হয়ে, তুমি
দূর থেকে তৃষ্ণা বুকে হাতরে বেড়াবে ঠিকই, আমায় আর
ছুঁতে পারবে না!


(সংক্ষেপিত)


©জুনাঈদ তাজবীন...