আমাদের এই সমাজে আমরা যারা তরুণ তরুণী আছি আমাদের জীবনে কোনো কিছু করার আগে কিংবা কোনো কিছু ঘটে গেলে বা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অথবা সমাজে কোনো কাজ করার আগে আমাদের সর্ব প্রথম চিন্তা ভাবনা নষ্ট মানসিকতার মগজে চলে আসে যে,
এই সমাজ কি বলবে? কে কি বলবে?
লোকে কি মনে করবে? এই সমাজের মানুষ কি বলবে?
কিন্তুু অথচ আমরা একবার ভাবি না যে আমার পেটে দু'বেলা দু'মুঠো ভাত না পরলে এই সমাজের কেও খোঁজ নিয়ে বলবে না,
'চলো এক বেলার ভাত সবাই মিলে একসাথে ভাগ করে খাই!
আবার কারো মাথা গুজার ঠাঁই না পেলে এ সমাজ তোমাকে মাথা গুঁজার ঠাঁই দিবে না বরং তোমাকে নিয়ে উপহাস করবে, হাস্যকর পাত্রে থাকবে।
তাহলে আর এই সমাজের এতো এতো মানুষ রাস্তার ফুটপাতে ঝড়, বৃষ্টি, শীতের মাঝে খোলা আকাশের নিচে থাকতো না!
হয়তো আবার কেউ কেউ জনপ্রিয়তা কিংবা পরিচিত লাভ করার জন্য মুখে অভিনয়ের হাসিঁ নিয়ে ক্যামেরা বন্দি হতে তাদের এক বেলা খাবার, বস্ত্র, দিয়ে যাবে।
ব্যাস এইটুকুই। এরপর আবার যে যার মতো জীবনের গতি পথে!
সমাজ কি বলবে?
সমাজ কিভাবে দেখবে
আমাকে অথবা আমাদেরকে?
সমাজ কি আমাদেরকে খাওয়ায়?
সমাজ কি আমাদের মাথা গুজার ঠাইঁ না থাকলে কেউ এসে জায়গা দেয়?
নাকি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের জায়গা দখল করে.!
সমাজের কিছু মানুষ পারে শুধু অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে?
নিজের দোষ ঢাকা দিয়ে অন্যের দোষ ধরতে!
সমাজের কিছু মানুষ তাদের নষ্ট মানসিকতার মগজে অন্যের বিচার করে ফেলে?
এই সমাজের মানুষ পারে না দু'টো পরিবারের সম্পর্কের এক বন্ধনে জড়িয়ে রাখতে!
শুধু পারে কিভাবে দু'টো মানুষ কিংবা দু'টো পরিবারের মাঝে কঠিন এক শক্ত সমাজের দেয়াল তৈরি করতে!
এই সমাজের কিছু কিছু মানুষ তােদর নিজেদের জীবনের স্বার্থের জন্য তাদের নিজেদের মতো করে নিয়ম তৈরি করেছে!
কেউ বলতে পারবে সত্যিকার অর্থে এর কারণ কি?
আজ এই প্রশ্নগুলো নষ্ট মানসিকতার রঙিন স্বার্থপর সমাজে কিছু ব্যার্থ মানুষের জীবনের কথা ,
গল্প হয়ে আমি ছুঁড়ে দিলাম!