//বেশী হোক, তবে হোক যথার্থ//


অনেক কথাই বলে গেল একবারে
অগোছালো কথা ছিল অমিলের ঘরে
কোথাও ছিল না একটাও কোনো মিল
মনে হয় অনুমানে ছুঁড়ে ছিল ঢিল।


সবাই আমরা বহু বহু কথা বলি
বারবার বলে কথা বহু করে ফেলি
দু চার কথায় সাধারণ কথা শেষ
বিশেষ বিষয় অনেক কথার কবলে।


অনেক কথা কী ক্ষতির একটা উৎস!
এ কথা বলার আছে নাকি কোনো ভিত্তি!
কিন্তু কখনো হয়েই তো যায় ক্ষতি
ক্ষতি হলেও কী বহু কথা পায় বিরতি


যাঁরা কম বলে, থাকে নাকি বেশী ভাবনায়!
যাঁরা বেশী বলে, তাঁরা কী ভাবে না বেশী!
বলতে পারি না কোনোটা ঠিক বা ভুল
এ শুধু ধারণা, কেন তাই ভালবাসি!


সকলেই জানে কথার কী গুরুত্ব
সমাজে থাকলে মৌন জীবন নয়
মৌন সাধুর অনেক কাহিনী শুনেছি
সে সব কাহিনী অনন্যতার পরিচয়।


ভাবনা এবং কথা জীবনের অঙ্গ
খুব দরকারি অঙ্গ রূপের বাইরে
এ যে অদ্ভুদ বলার নেই অপেক্ষা
অদ্ভুদ তাও, ছাড়াই যায় না ভাইরে।


বেশী কথা আর বেশী আহারের তুলনা
এই তুলনার কে করবে আপত্তি!
কোনো প্রতিবাদ আসতেই পারে সামনে
আসলে আসুক, ভাবনা স্বাধীন সত্যি।


এক নিঃশ্বাসে বলে গেলে বহু কথা
কেউ যদি শোনে খুব একাগ্রচিত্তে
ক্ষতির প্রশ্ন উঠতে পারে না এখানে
শ্রোতা মানবে না একটি কথাও মিথ্যে।


শুধু কম কথা ভালো আমি বলব না
বেশী কথা ভালো নয়, কেন যে বলব!
ইচ্ছা মতনই মানুষের বলা হোক
কথা যথার্থ হলে মনোযোগে শুনব।


সুবীর সেনগুপ্ত