//ভীষণ জরুরী শব্দ//

কোনোটা কোমল, কোনোটা আবার কর্কশ
কোনোটা ভয়ের, কোনোটাকে করা যায় বশ।

কোনোটা শুনতে যেতে হবে কোনো মন্দিরে
কোনোটা গড়ছে আকাশের বুকে অতি দূরে।

কোনোটা শুনেই আঁখিদ্বয় হয় ছলছল
কোনোটা গড়তে লাগছে কেবল কল্লোল।

কোনোটা রবির আলোতে, কোনোটা আঁধারে
কোনোটা শহরে, কোনোটা গ্রামের কুটিরে।

কোনোটা বিকাশে প্রগতির সাথে জড়ানো
কোনোটা বিনাশে ধ্বংস দিয়েই মোড়ানো।

কোনোটা যে সুস্বাদু তা বলতে পারি না
কোনোটা নোনতা, এ কথাও বলা যাবে না।

কোনোটাই নয় রাজার কিংবা প্রজার
কোনোটা হয় না কখনো কারো একার।

কোনোটা করে না নিজেই নিজের বিরোধ
কোনটার নেই অনুভবে শোধবোধ।

কোনোটা আমার বললেই সেটা ভ্রম
কোনোটা হয়ত বলা যেতে পারে কম।

কোনোটার সাথে করে নিতে হয় সন্ধি
কোনোটাকে অরি ভেবে নিয়ে করি বন্দী।

কোনোটা বিচারে পেয়ে যায় উঁচু স্থান
কোনোটা কপাল ঠুকেই হারায় মান।

কোনোটা এতই বিশেষ, পেতে মন চায়
কোনোটা কেবল অবিশেষ হয়ে উবে যায়।

কোনোটা বিদায় বেলাতেই উপযুক্ত
কোনোটা তখনই মনে হয় অতিরিক্ত।

কোনোটা বিপাকে খুব ঠেলে দিতে পারে
কোনোটা বিপাক থেকে উদ্ধার করে।

কোনোটা নীরবে হৃদয়ের কোণে শান্ত
কোনোটা সরবে তাল কেটে কেটে খান্ত।

কোনোটা কী ভালো, কিংবা হবে খারাপ
কোনোটা কিন্তু ভয় দিয়ে রাখে ছাপ।

কোনোটা কোনোটা কোনোটা তাহলে কি!
কোনোটা শব্দ, কিছু ভুল বলছি কী!

প্রতিটি জীবনে শব্দ প্রভাব ফেলছে
ভূবন নীরব, ভাবতে কী কেউ পারছে!

প্রতিদিন গড়ি প্রত্যেকে কিছু শব্দ
অনন্ত ধরণে শব্দ ভূবনে লব্ধ।

সুবীর সেনগুপ্ত