//বিভিন্ন অর্থ//


অসংখ্য কবিতায় অসংখ্য শব্দ
অসংখ্য ভাব নিয়ে অসংখ্য অর্থ
কে কোন অর্থে যে পড়বেই জড়িয়ে!
জানলে কী ঘটে যাবে অযথা অনর্থ!


কে কখন পড়বে যে, কোনো এক কবিতা!
যে পড়বে, তাঁরই ভাবনাতে কবিতার কথা
কথার কী মানে হবে! সবই তাঁর ধারণাতে
ধারণা কী একটাই! নাকি বহুতেই গাঁথা!


কবিতা বা গল্প, কিংবা উপন্যাস
সেই তো লিখবে যাঁর লেখাতেই অভ্যাস
যখন সে লিখবে, কিছু ভেবে লিখবে
সে তখন হয়ে যাবে তাঁরই লেখার দাস।


কেন কেউ কিছু লেখে! তাঁরই কাছে প্রশ্ন
তাঁর যা জবাব হবে, সেটা হবে রত্ন
সকলের কাছে সেই জবাব কী হবে ঠিক!
সকলে কী হতে পারে জবাবে প্রসন্ন!


সাহিত্য জগৎ এক স্বতন্ত্র দর্শনে
যা কিছুই থাক তাতে, থাকবে ভিন্ন মানে
সেই কারণেই তো স্বতন্ত্র দর্শন
এ তো মানতেই হবে, হয়ত সকলে জানে।


অসংখ্য ব্যাখ্যাতে বিশেষতঃ কবিতা
কখনো তা বুঝতেই হয়ে যায় মাথা ব্যথা
যে যাঁর মতন করে খুশী মতো ব্যাখ্যা
প্রতিটি ব্যাখ্যা ঠিক, পেয়ে যায় মান্যতা।


ভুল হোক ঠিক হোক, ব্যাখ্যা একটা থাকে
নিজ নিজ ব্যাখ্যাতে মানুষ নিজেকে ঢাকে
বজায় থাকুক তাই, তবেই স্বতন্ত্রতা
পড়ে পড়ে এই মন ভাবনাতে ঢেকে থাকে।


সুবীর সেনগুপ্ত