//হতে পারে নাকি জ্ঞান উদ্বায়ী!//


জানি তবু কেন লাগে যে অজানা!
বলব কী নিজ বিশ্বাসে হানা!
বিশ্বাস যদি না হয় অটল
ধরবে ফাটল, বাঁধবে না দানা।


জেনেও অজানা কী ভাবে যে হয়!
জানার ঠিকানা দূরে কেন রয়!
মনে হয় যেন জানা হয়ে গেছে
ধারণা কিন্তু ভুলের পাতায়।


জানতে গেলাম, জেনেও নিলাম
জানা হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম
পরে বুঝলাম জানা ঠিক হয়নি
যখন জানাকে কাজে লাগলাম।


জ্ঞান নেওয়া শুরু সেই শৈশবে
অতঃপর না থেমেই চলবে
যে যে জ্ঞান নিয়ে হই সমৃদ্ধ
তা কী আজীবন সাথেই থাকবে!


বলব কী সব জ্ঞান হবে স্থায়ী!
প্রমাণ পেয়েছি জ্ঞান উদ্বায়ী
কোনো কোনো জ্ঞান স্থায়ী হয়ে যায়
যাঁর মনে স্থায়ী, সেই নিজে দায়ী।


জ্ঞান ছেড়ে চলে যায়, তা মানছি
ছাড়ার কারণ নিয়ে কী ভাবছি!
ভাবিনা, কারণ ছেড়ে দিতে দিই
পরে কেন আছে জ্ঞান তা বলছি!


নিশ্চিত জানি, বলার মানে কি!
মানেটা সহজ, সুনিশ্চিত বৈ কি!
জানি ও জনিনা, কী করে বলব!
হ্যাঁ এবং না এক হবে নাকি!


বলা যেতে পারে, জেনেও জানিনা
তবে কী সে জ্ঞান পুরনো ঘটনা!
সেটারই সম্ভাবনা মনে হয়
কিংবা জানায় মনই ছিল না!


জেনেছি, বলার জন্য কী জানা!
সেরকম হলে, বলা হবে কানা
মনোযোগহীন জানা হলো ফাঁকি
বলতে হবেই জানাকে অজানা।


সুবীর সেনগুপ্ত