জ্ঞানের প্রকার ভেদ মানি না।


দুই থেকে তিন বড়, এই বলে যদি থামি
উপলব্ধি কি তবে, হয়ে যাবে খুব দামী!


কে জানেনা পৃথিবীতে, দুই থেকে তিন বড়!
অশিক্ষিতরা জানে, বলতে হবে কি আরও!


না শিখেই শিখে যাই, কত কিছু জীবনে
জানতে চাইনি তবু, জেনে যাই কত মানে।


'নিতে হবে নিতে হবে, সব জ্ঞান নিতে হবে'
এমন উতলা হলে, জ্ঞান এসে চলে যাবে।


জ্ঞান যে নিরেট সেটা, আমি মেনে নিয়েছি
ধরে না রাখলে, চলে যায় তাও জেনেছি।


'আমরা সকলে জ্ঞানী', সন্দেহ কার মনে!
অল্প জ্ঞান কি শুধু, পিষে যাবে অভিমানে!


গেলেই বিদ্যালয়ে, জ্ঞান কিছু বাড়বেই
জ্ঞান থেমে থাকবে কি, ঘর থেকে বেরলেই!


আছে নাকি কোনো লোক, জ্ঞান নিতে না চায়!
যদি জানো সেটাই তো, নব জ্ঞান অধ্যায়।


জ্ঞান দিয়ে ভরা এই, ভূবনের পৃষ্ট
দুচোখ মেললে জ্ঞান, যাই হয় দৃষ্ট।


উঁচু জ্ঞান নীচু জ্ঞান, বললে মানব না
জ্ঞানের প্রকার ভেদে, তর্কেও যাব না


প্রতিদিন ধরে ফেলি, কিছু না কিছুই জ্ঞান
উপেক্ষা না করলে, এই জ্ঞানে বাড়ে মান।


সমাজে যে জ্ঞান পায়, যশ আর সন্মান
প্রয়াস করেই পাওয়া যায় সেই সব জ্ঞান।


আয়ের যে পথ, সেটা করতে প্রশস্ত
সাধারণ জ্ঞান দিয়ে, এই কাজ ব্যর্থ।


'বেশী জ্ঞানে গুণী হবে', বলব কেমন করে!
গুণীরা আলাদা দল, সমাজের স্তরে স্তরে।


কেউ হতে পারবে না, রাতারাতি খুব জ্ঞানী
না কারো পড়বে চোখে, কৈশোরে মোটা ছানি


চোখ কান মন, এক বিন্দুতে জড়ো করে
জ্ঞান আহরণ হয়, কর্মে বা অবসরে।


ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে, যে করে খবরদারি
হেয় সে হবেই হবে, হোক নর কিবা নারী।


বলেছি তো আগে আমি, ধরাতে সকলে জ্ঞানী
মান এর যোগ্য সকলেই, এতো আমি মানি


Subir Sengupta