//কাজ বিশ্লেষণ//


কাজ করে যদি বিদ্বেষ ভাব মনে
আনা হয় কেন সেই কাজ স্মরণে!


কেন করি কাজ, একটি কারণ থাকবে
কারণ না ভেবে করলে কী ভুল হবে!


বিনাকারণ কী একটা কারণ হয়!
এর জবাব কি আদালতে পাওয়া যায়!


আমার জীবন আমার কাজের সঙ্গে
তাতে অ-কারণ কিংবা কারণ রঙ্গে।


আমি কাজ করি, কাজের আমি মালিক
কর্মীর স্থানে স্বয়ং এই মন নির্ভীক।


কাজ শেষ করে যদি হয় আপসোস
সেই কাজ করা হয়ে যায় নাকি দোষ!


কর্মের সাথে গড়ে তুললেই বন্ধন
কারণ এর যত যুক্তি হবেই খন্ডন।


কাজ কত রূপে আছে পৃথিবীতে, কে জানে!
সু-কাজ কু-কাজ অ-কাজ আছেই জ্ঞানে।


কোন কাজ কোন রূপে, সে তো বোঝা যায়
রূপের সংখ্যা অনন্ত, নেই সীমানায়।


সু-কাজ কু-কাজ থাকে চর্চায় নিয়ত
অ-কাজগুলোই রূপ রেখা থেকে বিরত।


শখের কাজ কী যাবে অ-কাজের ঘরে!
হয়ত বা তাই, আর না হতেও পারে।


রূপ যাই হোক, কাজ মানে শুধু কাজ
কাজ পেতে চায় মনের সঙ্গ, নেই লাজ।


যে কাজ থেকেই অসন্তোষের কারণ
সেই কাজ করা বারণ বারণ বারণ।


সুবীর সেনগুপ্ত