জন্মের থেকে বোঝে না তো কেউ
রাগ রাগিনীর মর্ম
বোঝে না তো কথা, বোঝে না তো কাজ
কিংবা কোনোই ধর্ম।
জন্মের থেকে কান্নার শুরু
যেটা মানা হয় মঙ্গল
আরো পরে গিয়ে সেই কান্নাই
জীবন করে অচল।
শিশু আদরের, ঘিরে থাকে সব
সুরক্ষাতেই ভরা
দিন গত হয়,শিশু বড় হয়
শুরু হয় চলা ফেরা।
এ নিয়ম ধরে শুধু শিশু নয়
সবার অগ্রগতি
পরিবর্তনে ভরে সংসার
বেড়ে যায় দুর্গতি।
কান্নার সাথে জুড়ে যায় হাসি
মিশ্র জীবন পথে
কখনো হর্ষ, কখনো বিষাদ
মাখামাখি মনোরথে।
শৈশব থেকে কৈশোর হয়ে
যৌবনে শিশু উচ্ছল
তারপরে মাঝ বয়সের সুখ
যেন সীমাহীন অঞ্চল।
উল্টো গণনা শুরু হতে থাকে
ষাট পেরোতেই জীবনে
ক্ষমতার হ্রাস হয় সাথে সাথে
উদ্বেগ আসে পরানে।
হাসি ও কান্না এক হয়ে যায়
অবসাদে ভরে মন
সেই মন যায় স্মৃতির পাহাড়ে
স্মৃতিতেই বিচরণ।
এই পরিসরে জীবনের মানে
লয় হতে থাকে সহজে
শূন্যকে ঘিরে প্রাণের বিরাজ
জানেনা কীসের গরজে।
জীবনের সূচনাতে যে কান্না
সে উৎস আর নেই
প্রাণের অন্তে কাঁদে না তো নিজে
কাঁদে কেউ, জানা নেই।
অন্তিম দিনে অন্যরা কাঁদে
দুই রূপে দুই কান্না
শুভ হয়ে এসেছিল যে কান্না
আজ অশুভের তাড়না।