//করি না তো মৃত্যুর অপেক্ষা//


কার অপেক্ষা, কেন অপেক্ষা!
কে করে যাবে এই অপেক্ষা!
লাভ নেই তাই নেই অপেক্ষা
সাধারণ জ্ঞান, পেয়েছি শিক্ষা|


কার অধিকারে থাকে অপেক্ষা!
সকলের অধিকারে অপেক্ষা
প্রাণ আসলেই আসে অপেক্ষা
সাধু সন্তেরও থাকে অপেক্ষা|

অপেক্ষা, এই শব্দটা বেশ
করতে কী কেউ দেয় নির্দেশ!
হয়ত তো বা দেয় কখনো আদেশ
অপেক্ষা করা কাজ যে বিশেষ|


অপেক্ষা মানেই শুধু ঘড়ি দেখা
ঘড়ির কাঁটার গোল গোল রেখা
মিনিট ঘন্টা যায় না তো রোখা
কিছু কী শেখাতে পারে অপেক্ষা!


হলে অপেক্ষা অল্প সময়
অসন্তোষের কারণ হারায়
ফল না এলেও সময় বাঁচায়
কখনো আবার লাভ হয়ে যায়|


অপেক্ষা দিনে অপেক্ষা রাতে
অপেক্ষা বাইরে, অপেক্ষা ছাতে
অপেক্ষার স্থান সব অজানাতে
হওয়ার সময় স্থির এক স্থানেতে|


গরীবের ঘাড়ে বেশী অপেক্ষা
ধনীর ভাবনা শুধু উপেক্ষা
ধনীরা করাতে চায় অপেক্ষা
দীনতার বশে থাকে অপেক্ষা|  


অপেক্ষা করা বিরক্তিকর
পাওয়ার জন্য দিতে হবে কর
কর দিয়েও তো পাওয়া দুষ্কর
ক্রোধ নিয়ে ফিরে যেতে হয় ঘর|


অপেক্ষা কী শুধু কারো জন্যই!
ছুটির অপেক্ষাও করে যাই
প্রখর গরমে আকাশে তাকাই
থাকি বৃষ্টির অপেক্ষাতেই|


অপেক্ষার হাত কে চায় ধরতে!
কেউ যে চায় না, হবেনা জানাতে
কদাচিৎ নিজে যাই অপেক্ষাতে
কেন যাই! সে তো নিজেরই স্বার্থে|


করি অপেক্ষা প্রায় সব কিছুর
করি মানুষের, করি এক ঋতুর
করি কৃষ্ণের, করি বিষ্ণুর
কখনো কী করে যাই মৃত্যুর|  

সুবীর সেনগুপ্ত